রাজ্য নির্বাচনে বিরোধীদের জয়
২১ জানুয়ারি ২০১৩জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট রবিবার রাতে খানিকটা দুশ্চিন্তাতেই পড়ে গিয়েছিল৷ লোয়ার স্যাক্সনির রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী সিডিইউ এবং মুক্ত গণতন্ত্রী এফডিপি দলের জোট সরকার আদৌ টিকবে কিনা, তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল সংশয়৷
মধ্যরাতে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যায়৷ সংসদে একটি আসন বেশি দখলে সমর্থ হয়েছে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি এবং সবুজ দল৷ আজ অবধি জার্মানির নির্বাচনে এত স্বল্প ব্যবধানে জয়ের ঘটনা মনে করতে পারছেন না কোন পণ্ডিতই৷ এই জয় সেপ্টেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সম্পর্কে বিরোধীদের মনে সাহস জোগাবে৷ সেই নির্বাচনে তৃতীয় দফা নিশ্চিত করতে লড়বেন ম্যার্কেল৷
তৃতীয় দফা বিজয় অর্জনে ম্যার্কেলের লড়াই যে মোটেই সহজ হবে না, সেটা অবশ্য খানিকটা পরিষ্কার করে দিয়েছে লোয়ার স্যাক্সনির নির্বাচন৷ বরং চ্যান্সেলর পদে এসপিডির প্রার্থী পেয়ার স্টাইনরব্রুকের পালে হাওয়া লাগছে বেশি৷ রাজ্য নির্বাচনে খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রীরা হারিয়েছে ১৪টি আসন৷ আর এসপিডি জিতেছে একটি বাড়তি আসন৷
স্টাইনব্রুক অবশ্য ইতিমধ্যে খানিকটা অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন৷ তাঁর কিছু মন্তব্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে৷ তিনি সেসব স্বীকারও করে নিয়েছেন৷ লোয়ার স্যাক্সনির নির্বাচনের সময় তাঁর এসব মন্তব্য পার্টির জন্য ইতিবাচক ছিল না বলেও মনে করেন তিনি৷ বিশেষ করে চ্যান্সেলরের বেতন বাড়ানো সংক্রান্ত মন্তব্যের কারণে নিজের দলেই সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি৷ এমনকি আসন্ন চ্যান্সেলর নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী হিসেবে রাখা হবে কিনা, তা নিয়েও শুরু হয় বিতর্ক৷
লোয়ার স্যাক্সনিতে বিজয়ের পর অবশ্য স্টাইনব্রুকের উপর থেকে চাপ কিছুটা কমেছে৷ এই জয়ের ফলে জার্মান সংসদের উচ্চকক্ষ বুন্ডেসরাটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে মধ্য বামপন্থী বিরোধী দল৷ এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে বুন্ডেসরাটে নিজেদের পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দিতে পারে তারা৷ যেমন জার্মানিতে সার্বজনীন ন্যূনতম বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে চায় এসপিডি, চায় করখেলাপীদের আরো কঠোর সাজা৷ এমনকি সম্পত্তি করও চালু করতে চায় তারা৷ বুন্ডেসরাটে এখন সেসব তুলবে মধ্য বামপন্থীরা৷