1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিক্ষোভ রাশিয়ায়

১০ মার্চ ২০১২

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভ্লাদিমির পুটিন বেশ ভালো মাত্রায় ভোট পেয়ে জিতে গেছেন৷ রুশ নির্বাচন মানেই কারচুপির অভিযোগ৷ সুতরাং নির্বাচন মিটলেও, বিক্ষোভ কিন্তু ক্রমশ বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/14IiP
ছবি: Reuters

নির্বাচনী বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মস্ত বিক্ষোভ মস্কোয়

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভ্লাদিমির পুটিন বেশ ভালো মাত্রায় ভোট পেয়ে জিতে গেছেন৷ রুশ নির্বাচন মানেই কারচুপির অভিযোগ৷ সুতরাং নির্বাচন মিটলেও, বিক্ষোভ কিন্তু ক্রমশ বাড়ছে৷

কী পরিস্থিতি রাশিয়ায়?

গত সপ্তাহান্তে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভ্লাদিমির পুটিনের পুনর্নির্বাচনের প্রতিবাদে রাজধানী মস্কো সহ দেশজুড়ে একাধিক প্রতিবাদ মিছিল দেখা যাচ্ছে শনিবার সারাদিন৷ রাজধানী মস্কোর সেন্ট্রাল স্কোয়্যার বা নোভি আরবাট-এর প্রধান রাজপথে ১৯৬০ সালের স্ক্রাইস্ক্র্যাপার বাড়িগুলোর সামনে শনিবারের মূল জমায়েত৷ ন্যুনাধিক ৫০ হাজার মানুষের জমায়েত করার অনুমতি দিয়েছে রুশ প্রশাসন৷ আসলে এই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে, অর্থাৎ গত ডিসেম্বর মাস থেকেই এই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগে মানুষ সংগঠিত হতে শুরু করেছিল রাশিয়ায়৷ নির্বাচন চলাকালীনও বেশ কিছু বিক্ষোভে অংশ নেয় প্রতিবাদকারীরা৷

Russland Proteste für Faire Wahlen
বিক্ষোভ মস্কো সহ গোটা দেশেইছবি: Reuters

পুটিন তৃতীয়বারের মত ফিরলেন প্রেসিডেন্ট পদে

সেটা প্রত্যাশিতই ছিল৷ নির্বাচন আসলে রাশিয়ার ক্ষেত্রে একটা গতানুগতিক বিষয় ছাড়া আর কিছুই নয়৷ নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, মাঝে কয়েক বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো ভ্লাদিমির পুটিন তৃতীয় বারের মত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন৷ বিদেশি রাষ্ট্রগুলি পুটিনের এই বিজয়কে স্বাগত জানালেও নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের মতে, এই নির্বাচনটিকে বিভিন্নভাবে পুটিনের বিজয়ের জন্য সহায়তা দান করা হয়েছে৷ সেটার কারণও স্পষ্ট৷ রাশিয়ার প্রশাসন বরাবরই নির্বাচনের ক্ষেত্রে জোর জুলুম চালায় যে সে কোন নতুন তথ্য নয়৷ ভোটে কারচুপি এবং প্রশাসনিক সহায়তার মাধ্যমে পুটিন এবং তাঁর দল এর আগের সবকটা নির্বাচনে জিতে এসেছে, সে অভিযোগ বিরোধীদের বহুদিনের৷ আর বিরোধীদের বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে বা জেলবন্দি করে কন্ঠরোধ করাটাও রাশিয়ার রাজনীতির পরিচিত সংস্কৃতি৷ সেই অর্থে গণতন্ত্রের আসল চেহারা রাশিয়ায় দেখা যায় না৷

বিরোধীরা কী বলছে?

প্রধান বিরোধী নেতা এবং শনিবারের বড়মাপের বিক্ষোভের সংগঠকদের প্রধান ভ্লাদিমির রিঝকভ এই নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ বলেছেন, এই প্রশাসন বেআইনী৷ কারণ একই দল, একই ব্যক্তিকে বারেবারে দেখা যাচ্ছে ক্ষমতা দখল করতে৷ যা কোনভাবেই সম্ভবপর হতে পারে না৷ নির্বাচনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে রিঝকভের অভিযোগ, বাকস্বাধীনতা ধ্বংস করে আর সুস্থ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতাকে নষ্ট করে যে নির্বাচন হয়েছে, তাকে মেনে নিতে রাজি নয় মানুষ৷ আসলে বিরোধীরা এই জমায়েতে যোগদানকারী মানুষের সংখ্যার মাধ্যমে বিষয়টির গুরুত্ব আন্তর্জাতিক মহলের সামনে তুলে ধরতে চাইছেন৷ বস্তুত, গত দেড় দশক ধরে চলা পুটিন সাম্রাজ্যে এত বড়মাপের বিক্ষোভ রাশিয়ায় সেভাবে সংগঠিত করে উঠতে পারেনি বিরোধীরা৷ এবারের পরিস্থিতি সে কারণেই কিছুটা হলেও ভিন্ন বৈকি!

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য