নির্বাচনে ‘ভুয়া খবরের' হুঁশিয়ারি ইইউ-র
১ আগস্ট ২০১৮ইউরোপের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান জুলিয়ান কিং ইইউর সব সদস্য রাষ্ট্রকে আশংকা প্রকাশ করেছেন, সামাজির যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা চলতে পারে৷ ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ এবং ইইউ-ইউক্রেন চুক্তির গণভোটে হস্তক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি৷
জার্মানির ফুঙ্কে মিডিয়া গ্রুপকে কিং বলেন, ‘‘সব দেশকেই এই বিষয়ে হুঁশিয়ার থাকতে হবে, এবং এ ধরনের ঘটনা প্রতিহত করতে আগে থেকেই পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখতে হবে৷''
তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রীয় ও অন্যান্য ফ্যাক্টর যাতে আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে যেন আমাদেরই বিরুদ্ধে কাজে না লাগাতে পারে, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে৷''
তবে শুধু রাষ্ট্র বা সরকার নয়, এ ব্যাপারে ইউটিউব এবং ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকেও দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কিং৷ মিথ্যা তথ্য যারা ছড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করা এবং ভুয়া অ্যাকাউন্ট ‘ডিলিট' করার ব্যাপারে তাদের আরো উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি৷ তিনি বলেন, ‘‘অনলাইনেও আমরা স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা দেখতে চাই৷''
আর ১০ মাস পরই ইউরোপীয় নির্বাচন৷ বিশ্লেষকদের আশংকা, ২৭ দেশে একসাথে ভোট চলায় নির্বাচনের এই ব্যাপ্তি আক্রান্ত হওয়ার আশংকাও বাড়িয়ে দিবে৷
তাঁদের আশংকা, অনেক ইউরোপীয় নাগরিকই যেহেতু ইউরোপের রাজনীতির সাথে পরিচিত নন, তাঁদের সহজেই ভুয়া খবরে প্রভাবিত করা সম্ভব হবে৷
ইইউ অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়া ও বড় বড় বিজ্ঞাপনী সংস্থার মতো অনলাইন প্লাটফরমগুলোর সাথে মিলে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো বন্ধে একটি কোড অব প্র্যাকটিস তৈরির কাজ করছে৷ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এর কাজ শেষ করার আশা তাঁদের৷
এডিকে/ডিজি (ডিপিএ)