1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভুয়া সংবাদ ছেপে বিপাকে এক ব্লগ

৩১ মার্চ ২০১৮

জার্মানির একটি সংবাদভিত্তিক ব্লগসাইট এক ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করে ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়েছে৷ দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শহর মানহাইমে বড় সন্ত্রাসী হামলার খবর প্রকাশ করেছিল সাইটটি৷ তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী আইনে মামলা হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/2vEnl
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Schuldt

মানহাইমের সরকারি কৌঁসুলির দপ্তর সোমবার জানিয়েছে যে, ভুয়া খবর প্রকাশ করে রাইনেকাব্লগ কোনো আইন ভঙ্গ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

ব্লগটি সপ্তাহান্তে ‘পশ্চিম ইউরোপে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা' শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ এতে লেখা হয়েছে যে, ‘‘ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে মানহাইমে ৫০ জনের মতো সশস্ত্র হামলাকারী ২৫টি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অন্তত ১৩৬ ব্যক্তিকে হত্যা করেছে৷''

প্রতিবেদনটিতে এ কথাও লেখা হয় যে, ‘‘রাস্তাঘাটসহ সর্বত্র প্রাণহীন দেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে৷ বাতাসে রক্তের গন্ধ ভাসছে৷ আর আহতরা সহায়তার জন্য চিৎকার করছে৷''

বলাবাহুল্য, প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই সাড়া দেয় মানহাইম পুলিশ৷ টুইটারে তারা জানায় যে, প্রতিবেদনটিতে প্রকাশিত তথ্য সঠিক নয়৷

প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের জার্মানির রাইন-নেকার অঞ্চলের স্থানীয় এবং সাংবাদিকতার বৈশিষ্টপূণ্য তথ্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে ব্লগটি৷ এমনকি তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে তারা ‘‘সৎ, স্বচ্ছ এবং অসামান্য'' বলেও দাবি করেছে ইন্টারনেটে৷

ভুয়া সংবাদ প্রকাশের পর ব্লগটি দাবি করেছে যে, ভবিষ্যতে এরকম কোনো হামলার ঘটনা ঘটলে প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে তা নিয়ে বিতর্কের উদ্দেশ্যে সংবাদটি প্রচার করেছে তারা, আতঙ্ক সৃষ্টি তাদের উদ্দেশ্য ছিল না৷

ব্লগটির সম্পাদকীয়ণ্ডলীর তরফ থেকে দেয়া বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘জার্মানি আর নিরাপদ নেই৷ আমরা কী করতে পারি? - এটা একটা কৌতূহলোদ্দীপক এবং প্রয়োজনীয় বিতর্কের বিষয়৷ আমরা আজ যা ভুয়া সংবাদ হিসেবে প্রকাশ করেছি, কাল তা সত্যিকারের খবর হতে পারে৷''

এই ভুয়া সংবাদটি নাকি আরো আগেই প্রকাশ করার কথা ভেবেছিল ব্লগ কর্তৃপক্ষ৷ আগেভাগে এই বিষয়ে স্থানীয় মেয়র এবং পুলিশ প্রধানকে বিষয়টি জানায় তারা৷ তবে তাঁরা দুজনই এ ধরনের ভুয়া খবর প্রকাশ থেকে ব্লগ কর্তৃপক্ষকে বিরত থাকতে বলেছিলেন৷

বলাবাহুল্য, রাইনেকাব্লগের এই ভুয়া সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে৷ অনেকেই তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ জার্মান প্রেস কাউন্সিলে তাদের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগও দাখিল করা হয়েছে৷ কাউন্সিল জানিয়েছে যে, ব্লগটি এ ধরনের কোনো খবর প্রকাশের মাধ্যমে আইন ভঙ্গ করেছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে৷

এআই/এসিবি (ডিপিএ, ইপিডি)