‘‘সেনা মোতায়েন প্রয়োজন’’
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩নির্বাচন কমিশন আইনে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিধান ছাড়াও না ভোটের ব্যবস্থা, ব্যালট পেপারে প্রার্থীর মার্কা এবং ছবি ব্যবহার এবং নির্বাচনকালীন গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে তদন্ত সাপেক্ষে নির্বাচন বাতিলের বিধানের কথা বলেছে সুজন৷
সুজন-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন এবং শক্তিশালী করতে হবে৷ তাহলেই বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি দেয়া যাবে৷ নয়তো প্রত্যেক নির্বাচনের আগেই নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবে৷ রাজনীতির এই অস্থিতিশীল ধারা বন্ধের কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন৷ তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলো সাময়িক সমাধান৷''
তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনকে এখনো ঠুটো জগন্নাথ করে রাখা হয়েছে৷ নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধের ধারাগুলো মন্ত্রিসভা গ্রহণ করেনি৷ ফলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি প্রতিকার পাবেন না৷ আর অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে৷
‘‘ভারতে কারো এক দিনের সাজা হলেও আর সে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেনা৷ কিন্তু বাংলাদেশে আপিল নিস্পত্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়৷ আর আপিল ঝুলিয়ে রেখে অভিযুক্ত ব্যক্তি মন্ত্রী এমপি হয়৷ এর পরিবর্তন দরকার৷''
ড. মজুমদার বলেন, ‘‘স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন করতে পারবেনা এই বিধান গ্রহণযোগ্য নয়৷ ভোটার হয়ে শর্ত পূরণ করলে যেকোনো নাগরিকের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার থাকা উচিত৷ আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন করতে না পারলে যোগ্য প্রার্থী কমে যাবে৷ আর এতে রাজনৈতিক দলের প্রধানরা নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী হবেন৷''
এদিকে এখনো সংলাপের কথা বলছে রাজনৈতিক দলগুলো৷ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সিনিয়র নেতারা এখন প্রায় প্রতিদিনই সংলাপের কথা বলেন৷ আর শনিবারও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, ‘‘তারা যেকোন জায়গায় যেকোনো সময় আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছেন৷''
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘‘সংলাপ নিয়ে রাজনীতি এখনো চলছে৷ একদল আন্দোলনে যাচ্ছে৷ আরেকদল সংলাপের কথা বললেও তাদের মত করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ তবে এতে সমাধান হবে না৷ সত্যিকারের সংলাপের মধ্য দিয়ে সমাধান আসবে৷ তবে তা কখন সংঘাতের আগে না পরে তা তিনি নিশ্চিত নন৷''
তিনি বলেন, ‘‘শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারই পারে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করতে৷''