1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অদিমমানব সবজিও খেতো

২৯ জুন ২০১৪

হ্যাঁ, কথাটা সত্য৷ কারণ এর প্রমাণ পাওয়া গেছে পঞ্চাশ হাজার বছরের পুরনো মল বিশ্লেষণ করে৷ স্পেনের এল সল্ট সাইটে পাওয়া এই মলের গুঁড়ো বিশ্লেষণ করা হয় অ্যামেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ল্যাবরেটরিতে৷

https://p.dw.com/p/1CRv9
Neanderthaler Nachbildung im Neanderthal-Museum
ছবি: picture-alliance/dpa

নিয়ান্ডারথাল মানবের গু? তা নিয়ে যদি এমআইটি-র রসায়নবিদরা মাথা ঘামাতে পারেন, তাহলে আমাদের পাঠকদেরও নাকে কাপড় দেবার কোনো কারণ নেই৷ তাঁদের স্বস্তির জন্য এ-ও যোগ করা চলতে পারে যে, প্রস্তরযুগে বিলুপ্ত গুহমানবের মলও প্রস্তরীভূত অবস্থাতেই পাওয়া গিয়েছে৷ এবং সেই মল গবেষণাগারে বিশ্লেষণ করে যে ‘বায়োমার্কার'-গুলি পাওয়া গেছে, তার মধ্যে আছে কোপ্রোস্টানল নামের একটি লিপিড, যা পাকস্থলীতে কোলেস্টেরল মেটাবলাইজ করার সময় জন্ম নেয়৷

অপরদিকে গবেষকরা ফাইভ-বেটা-স্টিগমাস্টানল নামের একটি পদার্থের রেশ পেয়েছেন, যা উদ্ভিদ হজম করার সময় সৃষ্টি হয়৷ এ থেকে প্রমাণ হয় যে, নিয়ান্ডারথাল মানবরা প্রধানত মাংস খেলেও, কচু, কুল অথবা বাদাম খেতেও তাদের আপত্তি ছিল না৷

Museen in Deutschland Neanderthal Museum Mettmann Flash-Galerie
নিয়ান্ডারথালরা আজ থেকে আড়াই লাখ বছর আগে দেখা দেয় এবং তার পর প্রায় দু' লাখ দশ হাজার বছর ধরে তারা ইউরোপ ও এশিয়া জুড়ে বাস করেছে (প্রতীকী ছবি)ছবি: Neanderthal Museum/H. Neumann

এই আবিষ্কারকে ঠিক নতুন বলা চলে না, কেননা নিয়ান্ডারথাল মানবের দাঁতের ফাঁকে যে খাবারের অবশিষ্ট পাওয়া গিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করেও তাদের বাদাম এবং উদ্ভিদ খাবার হদিশ পাওয়া গিয়েছিল৷ কিন্তু যেহেতু নিয়ান্ডারথালরা তাদের দাঁতকে কাজের জন্যও ব্যবহার করতো – অর্থাৎ দাঁত দিয়ে শুধু খাওয়া নয়, এটা-সেটা চিবতো কিংবা কামড়ে ধরত, সেহেতু দাঁতের ফাঁকে পাওয়া মাইক্রোফসিলকে চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়৷ এছাড়া নিয়ান্ডারথাল মানবদের দাঁতের ফোকরে উদ্ভিদের অবশিষ্ট তাদের শিকার করা অন্য কোনো তৃণভোজী জীব থেকেও এসে থাকতে পারে৷

কাজেই স্পেনের লা সল্ট সাইটে পাওয়া আনুমানিক পঞ্চাশ হাজার বছরের পুরনো পাঁচটি প্রস্তরীভূত মলের স্তূপ যে ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা জুরাসিক পার্কের মতোই অকাট্য৷ দৃশ্যত হোমো সেপিয়েন্সদের এই নিকটাত্মীয় নানা ধরনের খাবার খেতো৷ আজ থেকে ৩৫ হাজার বছর আগে তারা লুপ্ত হয়৷ তারাই ছিল ইউরোপের আদি বাসিন্দা, কিন্তু হোমো সেপিয়েন্সরা আফ্রিকা থেকে ইউরোপে ঢোকার পর নিয়ান্ডারথালরা ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়৷

নিয়ান্ডারথালরা আজ থেকে আড়াই লাখ বছর আগে দেখা দেয় এবং তার পর প্রায় দু' লাখ দশ হাজার বছর ধরে তারা ইউরোপ ও এশিয়া জুড়ে বাস করেছে, শেষমেষ হোমো সেপিয়েন্স, অর্থাৎ আমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে মিশে গিয়ে মানব ইতিহাসের মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছে৷ তবে তাদের সেই সবজি খাওয়ার অভ্যাসটা আমাদের আজও কাজে দিচ্ছে, কি বলেন?

এসি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য