ডর্টমুন্ডে নুরি সাহিন
১২ জানুয়ারি ২০১৩ডর্টমুন্ডে পাঁচটি মরশুম কাটানোর পর নুরি সাহিন ২০১১ সালের মে মাসে রেয়াল মাদ্রিদে যান৷ একজন ১৯ বছর বয়সি ফুটবলারের পক্ষে সেটা কম কথা নয়৷ আরো গর্বের কথা, সাহিন যখন ২০০৫ সালে ডর্টমুন্ডের হয়ে ফার্স্ট ডিভিশনে খেলতে শুরু করেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছরের এক মাস কম৷ অর্থাৎ বুন্ডেসলিগার তরুণতম প্লেয়ার হিসেবে সাহিন ইতিহাস সৃষ্টি করেন৷
ডর্টমুন্ডের হয়ে দেড়শো বারের বেশি মাঠে নেমেছিলেন নুরি সাহিন৷ গোল-গেটার হিসেবে তাঁর বিশেষ নাম ছিল না, কেননা তিনি মিডফিল্ডার৷ তবে সুযোগ পেলে নেটে বল লটকে দিতে তিনি কারোর চেয়ে কম যেতেন না৷ ২০১০-১১'র মরশুমে ডর্টমুন্ড যে বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়ন হয়, তার পিছনে সাহিনের অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না৷ জার্মানিতে জন্ম এই তুর্কি খেলোয়াড়টি ততোদিনে আন্তর্জাতিক নজর কেড়েছে৷ কাজেই খোদ রেয়াল মাদ্রিদ ২০১১ সালে এক কোটি ইউরো নগদ মূল্যে নুরি সাহিনকে উঠিয়ে নিয়ে যায়৷
কিন্তু বিধি বাম৷ মাদ্রিদে সাহিন গোড়া থেকেই একধিক চোটের কারণে ফর্ম খুঁজে পাননি৷ দলের প্রথম একাদশে কোনোদিনই নিজের জায়গা করে নিতে পারেননি৷ মাদ্রিদে একটা গোটা মরশুমে মাত্র চারবার মাঠে নেমেছেন নুরি সাহিন৷ ২০১২'র অগাস্টে ধার হিসেবে ইংল্যান্ডের এফসি লিভারপুলে যোগদান করেন৷ কিন্তু সেখানেও তাঁকে একটানা খেলার এবং মাঠে নামার সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে৷
সে সুযোগ আসার সম্ভাবনা নেই দেখেই হয়তো সাহিন স্বয়ং কিছুদিন আগে তাঁর পুরনো ক্লাব ডর্টমুন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ ডর্টমুন্ড যে তাঁকে স্বাগত জানাবে, সেটা সাহিনের জানাই ছিল, কেননা ক্লাবের কার্যনির্বাহক হান্স-ইওয়াখিম ভাটস্কে ২০১০-১১'র চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পরই বলেছিলেন, সাহিন যদি কোনোদিন আবার ডর্টমুন্ডের হয়ে খেলতে চান, তবে তাঁর জন্য দুয়ার উন্মুক্ত থাকবে৷
অবশ্য সাহিনকে বাদ দিয়েই ডর্টমুন্ড ২০১২'র খেতাবও জিতেছে, সেই সঙ্গে জার্মান কাপ৷ সাহিনের সুবিধাটা হবে এই যে, তিনি গত দেড় বছরে তাঁর পুরনো ক্লাবের খেলোয়াড়, কর্মী, কর্মকর্তা, সকলের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখেছেন৷ এমনকি মেডিকাল চেক-আপের জন্য হাসপাতালে গিয়ে দেখেন, তিনি নার্সদেরও চিনতে পারছেন! যেমন নার্সরাও তাঁকে একবার দেখেই চিনেছেন৷
তাই শুক্রবারের সাংবাদিক সম্মেলনে সাহিনের বক্তব্য, ‘‘বাড়ি ফিরতে পেরে আমি খুব খুশি৷''