নূরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা
১৪ অক্টোবর ২০২০গতকাল ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নূরের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি৷ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের সেই শিক্ষার্থী মামলাটি করেন৷ এর আগে নূরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের ছয় নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা, চরিত্র হনন ও সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে তিনটি মামলা করেছিলেন তিনি৷
সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতের পেশকার শামীম আল মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় করা মামলার আরজিতে দুইজনকে সাক্ষী করা হয়েছে৷
ধর্ষণ মামলার তিন সপ্তাহ পর রোববার মধ্যরাতে আসামিদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু করে৷ ফেইসবুক লাইভে এসে এক ঘণ্টারও বেশি সময় কথা বলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর৷ এক পর্যায়ে ধর্ষণ মামলার বাদী সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘একেবারেই হাস্যরসাত্মক, ছিঃ! আমরা ধিক্কার জানাই যে, এত নাটক করছে, যেই দুশ্চরিত্রাহীন, যে ধর্ষণের নাটক করছে৷''
এর মাধ্যমে তিনি নারীর অবমাননা করেছেন- এমন সমালোচনা শুরু হলে মঙ্গলবার নূর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘দুশ্চরিত্রহীন, মানে তাকে চরিত্রবান বা চরিত্রহীন কোনোটাই বলিনি৷ তিনি অন্যের প্ররোচনায় এসব কাজ করছেন৷'' এর জবাবে ধর্ষণের মামলা করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী বলেন, ‘‘নূর আগেই আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিলো৷আর এখন ফেসবুক লাইভে আমাকে দুশ্চরিত্রা বললো৷ এতেই বোঝা যায় যে, তার আসল উদ্দেশ্য কী৷''
ধর্ষণ মামলার আসামিদের প্রকাশ্যে বিবৃতি দেয়া বা বক্তব্য রাখার সুযোগ থাকা উচিত নয় বলে মনে করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)- এর সাবেক নির্বাহী পরিচালক শিপা হাফিজ৷ তিনি বলেন, ‘‘মামলা হয়েছে, তদন্ত হবে৷ আদালতই দেখবে কে দোষী আর কে নির্দোষ৷ নূর তাকে যে দুশ্চরিত্রা বলেছেন, সেটা একটি অপরাধ৷ আমাদের এখানে এটা চলে আসছে৷ কোনো নারী ধর্ষণ বা যৌনহয়রানির অভিযোগ করলেই এক গ্রুপ তার চরিত্র নিয়ে কথা বলা শুরু করে৷ তাদের উদ্দেশ্যই থাকে অপরাধীকে আড়াল করা৷''
নুরুল ইসলাম নূরের সমালোচনা করে মানবাধিকার কর্মী নূর খান বলেন, ‘‘মেয়েদের প্রতি নূরের যে কী ধরনের অশ্রদ্ধা তা তিনি ওই অভিযোগকারী ছাত্রীকে দুশ্চরিত্রা বলে প্রমাণ দিলেন৷ এই ধরনের কথা কোনো সুস্থ মানুষ বলতে পারেন না৷এটা নৈতিকতা ও আইনবিরোধী৷''
এসিবি/এডিকে (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)