কৈফিয়ত চাইলো রাশিয়া
৪ এপ্রিল ২০১৪ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা জগতের সম্পর্কের ভিত্তি কেঁপে গেছে৷ প্রাতিষ্ঠানিক স্তরেও দুই পক্ষের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে৷ সামরিক জোট ন্যাটো মস্কোর সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছে৷ সেইসঙ্গে পূর্ব ইউরোপে সদস্য দেশগুলির নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে চায় ন্যাটো৷ আপাতত কাগজে-কলমে এমন পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে৷ তবে পোল্যান্ডের দাবি অনুযায়ী অবিলম্বে আরও সৈন্য মোতায়েনের পথে যাচ্ছে না ন্যাটো৷ প্রয়োজনে দ্রুত সৈন্য সংখ্যা বাড়ানো এবং আরও সামরিক মহড়ার মতো ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে৷ কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিভিন্ন সম্ভাবনার খসড়া প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে শোনা যাচ্ছে৷
ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ৪০,০০০ রুশ সৈন্যের উপস্থিতি ন্যাটোকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে৷ ক্রাইমিয়ার পর রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণ অংশকেও বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কিছু মহল৷ রাশিয়া অবশ্য নিজস্ব সীমানার মধ্যে সৈন্য মোতায়েন নিয়ে কোনোরকম আলোচনা করতে প্রস্তুত নয়৷ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, সামরিক মহড়ার কারণে সৈন্যরা সেখানে সমবেত হয়েছে৷ মহড়া শেষ হলে তারা নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে যাবে, যদিও তার কোনো সময়সীমার উল্লেখ তিনি করেন নি৷ এই অবস্থায় ন্যাটোর কাছে কৈফিয়ত চেয়েছেন তিনি৷ তাঁর মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে উত্তেজনা কমানোই মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত৷
এ প্রসঙ্গে লাভরভ বলেছেন, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর স্থায়ী সৈন্য সংখ্যা বাড়ালে ১৯৯৭ সালের চুক্তি লঙ্ঘিত হবে৷ তাঁর আশা, ন্যাটো এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তির কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দেবে৷
এদিকে রাশিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ক্রাইমিয়ার রাশিয়ায় যোগদানের ঘটনা মেনে নেওয়া৷ কিছুটা হালকা মেজাজে তিনি বলেন, মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উচিত আরও যোগাসন করা, খোলা আকাশের নীচে সময় কাটানো, টেলিভিশনে কমেডি শো দেখা ইত্যাদি৷ তাঁর মতে, মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক প্রায় পুরোপুরি ছিন্ন করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষতি হবে৷
এসবি / এপিবি (এএফপি, রয়টার্স)