ন্যাটোর বৈঠকে রাশিয়া এবং চীন নিয়ে আলোচনা
২৯ জুন ২০২২ন্যাটোর বৈঠকে এবার প্রধান আলোচ্য বিষয় হলো, রাশিয়া ও চীন। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটো এখন কী ব্যবস্থা নিতে পারে, সেই বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। সেই সঙ্গে চীনকেও সমান গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বৈঠকে চীনের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক উচ্চাকাঙ্খা নিয়েও কথা হবে। সেজন্যই এশিয়া এবং ওশিয়ানিয়ার দেশগুলিকে নিজেদের বক্তব্য পেশ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ''ইউক্রেনকে সমর্থন করে যাওয়া জরুরি। কারণ, ইউক্রেন বর্বরোচিত আক্রমণের মুখে পড়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপে এই বর্বরতা আমরা দেখিনি।''
আশা করা হচ্ছে, সদস্য দেশগুলি পূর্ব ইউরোপে ও বাল্টিক দেশগুলিতে অস্ত্রশস্ত্র মজুত করে রাখা নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছাবে। সেই সঙ্গে এই অঞ্চলে আরো বেশি সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্তেও তারা সায় দেবে। ইউক্রেনকে আরো সামরিক সাহায্য নিয়েও কথা হবে। ইউক্রেন এখনো সেই সোভিয়েত জমানার অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করছে। তারা যাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তার ব্যবস্থা করার দিকে নজর দেবে ন্যাটো। তারা কিয়েভকে সব ধরনের সাহায্য করার কথাও বলতে পারে।
এই বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও ভিডিও-ভাষণ দেবেন।
বাইডেন স্পেনে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখন স্পেনে। মাদ্রিদে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফেলিপ। বাইডেনের সঙ্গে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যাঞ্চেজের বৈঠকও হয়েছে।
স্যাঞ্চেজ সেখানে একাধিক বিপদের কথা তুলে ধরেছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ এবং তার ফলে মুদ্রাস্ফীতির বিপদ নিয়ে যেমন কথা হয়েছে, তেমনই আফ্রিকা থেকে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের স্পেনে আসা নিয়েও কথা হয়েছে। সম্প্রতি উত্তর আফ্রিকা থেকে মরোক্কোয় স্পেনের এনক্লেভে আসার সময় ২৩জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই ইউরোপে আসতে চাইছিল।
বাইডেন জানিয়েছেন, অ্যামেরিকা দক্ষিণ প্রান্তে ন্যাটোর উপস্থিতি আরো বাড়াতে চায়। স্পেনের বন্দর রোটার কাছে ডেস্ট্রয়ারের সংখ্যা চার থেকে ছয় করতে চান তিনি। ন্যাটোর শীর্ষবৈঠকে তিনি একাধিক ঘোষণা করবেন। তার মধ্যে এটা একটা।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তারা বর্তমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেছেন।
রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর ইউরোপে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে অ্যামেরিকা। বাড়তি ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে তারা।
নজরে চীন
ন্যাটোর বৈঠকে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও নিউজিল্যান্ডের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই দেশগুলি এশিয়া প্যাসিফিকে চীনের সামরিক উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত।
বুধবার জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নেতাদের নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করবেন বাইডেন।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)