পণপ্রথা ছিল, আছে, আর কতদিন থাকবে?
২১ নভেম্বর ২০১৭না, এটা মধ্যযুগ নয়৷ একুশ শতকের ‘ডিজিটাল' ভারত৷ এই নির্লজ্জ ও অমানবিক প্রথা সময়ের সঙ্গে বিলীন হয়ে যেতে পারত৷ কিন্তু অশিক্ষা, স্বার্থবুদ্ধি আর অপরিসীম লোভ আজও টিকিয়ে রেখেছে পণ বা যৌতুকের প্রথাকে৷ একটা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, দীর্ঘকাল বাম ও প্রগতিশীল জোটের শাসনে থাকা পশ্চিমবঙ্গ কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে৷ ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো-র হিসেবে, ২০১৫ সালে পণপ্রথার জন্য পশ্চিমবঙ্গে ৮৯৮টি বধূ নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে৷ রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যে এর দারুণ প্রকোপ, তা বলে পশ্চিমবঙ্গ! প্রশ্ন উঠছে, নাস্তিকতায় বিশ্বাসী, সংস্কার বর্জনের ডাক দেওয়া বামপন্থিরা তা হলে আদৌ বাংলার সমাজে গুণগত কোনো পরিবর্তন আনতে পারেননি?
না, সত্যিই পারেননি৷ ভোটের রাজনীতি ব্রাহ্মণ্য অনুশাসনে থাকা পণপ্রথার শিকড়কে উচ্ছেদ করার জন্য যথেষ্ট ছিল না৷ অতীতে পৈত্তধারী ব্রাহ্মণদের দাপট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অক্টোপাসের মতো যৌতুক প্রথার ভাইরাস জাপটে ধরেছিল সমাজকে৷ সেই ভাইরাসকে আজও দেশছাড়া করা যায়নি৷ যদিও এটাই পুরো ভারতের ছবি নয়৷ এ দেশের আদিবাসী সমাজের দিকে তাকান, সেখানে নারীদের কেনাবেচার সামগ্রী হিসেবে দেখা হয় না৷ সেখানে বিয়ের সময় বরপণ দেওয়ার রেওয়াজ নেই৷ বরং কন্যাকেই পণ দেয়ার রেওয়াজ আদিবাসী সমাজে৷ যৌতুক প্রথার ময়নাতদন্ত করার আগে আমরা এই আদিবাসীদের দিকেই প্রথমে চোখ রাখব৷
তথাকথিত উচ্চবর্গের যৌতুকের অপসংস্কৃতি যাতে আদিবাসীদের মধ্যে ঢুকে না পড়ে, সে জন্য সজাগ রয়েছে তাঁদের যুব সমাজ৷ এঁদেরই একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড়ের বাসিন্দা মৃণালকান্তি মাহাতো৷ মৃণাল ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মধ্যে পণ দেওয়া নেওয়ার ব্যাপারটা একদমই নেই৷ কিন্তু আদিবাসী কুড়মি সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্রাহ্মণ্যবাদের অনুশাসন ঢুকে পড়ায় ইদানীং কিছু তথাকথিত নব্য শিক্ষিত যুবকেরা পণের দিকে ঝুঁকছেন৷ সেটা সংখ্যায় কম, পাঁচ শতাংশের মতো!''
পণের বিরোধিতায় কতটা প্রচার চলছে এই সমাজে? মৃণাল জানালেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহল এলাকায় সাঁওতাল আদিবাসীদের মধ্যে পণ দেওয়ার প্রথা কোনোকালেই ছিল না৷ তাই তাঁদের পণবিরোধী আন্দোলনের দরকার হয়নি৷ কিন্তু মাঝে উচ্চবর্ণের হিন্দুদের দেখে সেই রেওয়াজ বিক্ষিপ্তভাবে অনুসরণ করা হয়েছিল আদিবাসী কুড়মি সমাজে৷ এখন তাঁদের নিজেদের সংগঠনগুলি সামাজিক আন্দোলন ও সংস্কার শুরু করেছে৷'' এই তরুণ শিক্ষকের অভিজ্ঞতাতেই জানা গেল, পুরুলিয়ার কাছে আয়োজিত একটি সভায় তিন হাজার আদিবাসী মানুষের উপস্থিতিতে সবাইকে শপথ নেওয়ানো হয়েছিল — ‘আমি নিজে যখন বিয়ে করব, পণ নেবো না, অন্যকেও পণ দেবো না৷'
এভাবেই সচেতনতার প্রসার ও আন্দোলনের মাধ্যমে যৌতুকের ভাইরাসকে সমূলে বিনাশ করার চেষ্টা করছেন মৃণালরা৷ আদিবাসী যুবকরা সোশ্যাল নেটওয়ার্ককে ইতিবাচক কাজে ব্যবহার করেছেন৷ সেখানে পোস্ট দেখা যাচ্ছে — ‘আমি এ বছর বিয়ে করলাম৷ আমি পণ নিইনি৷ আপনারাও নেবেন না তো৷ পণ নেওয়া মানে ভিক্ষার ঝুলি হাতে নেওয়া৷' বিয়ের জন্য হাত পাতা একটা লজ্জাজনক ব্যাপার, এই বোধ আদিবাসীদের মধ্যে পণপ্রথাকে রুখে দিয়েছে৷ পণ না নেওয়াটাই এখন সেখানকার সংস্কৃতি৷ তাই এখানে যৌতুকের কথা পাড়লেই পাত্রপক্ষকে ঘৃণার চোখে দেখা হয় এবং তৎক্ষণাৎ সে সম্পর্ক নাকচ করা হয়৷
চিরকালই অবিবাহিত, সরকারি চাকুরের কদর কন্যার পরিবারের কাছে বেশি৷ বেশি পরিমাণ পণ দিয়ে হলেও তারা সরকারি চাকুরের হাতে মেয়েকে তুলে দিতে রাজি হয়ে যান৷ এটা রুখতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশ সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন৷ পণপ্রথা ও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে জোর প্রচার শুরু করেছে তাঁর সরকার৷ ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো-র তথ্য অনু্যায়ী, ২০১৫ সালে পণের দাবি না মেটাতে পেরে বিহারে প্রাণ হারিয়েছেন ১১৫৪ জন গৃহবধূ৷ মহিলাদের প্রতি হওয়া অত্যাচারে বিহার ১১ নম্বরে রয়েছে৷ তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, রাজ্যে কোনো সরকারি কর্মচারী বিয়ের সময় যৌতুক নিলে তাকে চাকরি খোয়াতে হবে৷ উল্লেখ্য, বিহারে সরকারি চাকরিতে যোগদানের আগে সবাইকে শপথ নিতে হয় যে বিয়ের সময় তাঁরা কোনো যৌতুক নেবেন না এবং সন্তানদেরও বাল্যবিবাহ দেবেন না৷
পশ্চিমবঙ্গ কেন এই পথ নিতে পারে না? এই প্রশ্নটা তুলে এ রাজ্যের দিকে নজর ঘোরাতে হবে৷ প্রথমেই তাকাব গ্রামের দিকে৷ নিঃসন্দেহে ভারতীয় সমাজে পণবিরোধী প্রচার চলছে, কিন্তু তাও অনেকটা ফাঁক থেকে যাচ্ছে৷ গ্রাম ও মফসসলের চিত্রটা খুব বেশি পালটায়নি৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার প্রতিষ্ঠিত একটি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বীণা মান্নার অভিজ্ঞতা এমনই৷ তিনি বলেন, ‘‘মাধ্যমিক পাশের পরেই ছাত্রীদের বিয়ে হয়ে যায় এবং তা যৌতুকের কারণেই৷ ইদানীং যৌতুক নেওয়ার চিত্রটা পালটেছে, কিন্তু বন্ধ হয়নি৷ সরাসরি আর্থিক লেনদেন না করে মোটরগাড়ি, ট্রাক্টর, খাসজমি ইত্যাদি ব্যয়বহুল উপঢৌকনও নেওয়া হয়৷ মূলত একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের এইভাবে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়৷ নবম বা দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে বিয়ের পর স্কুল থেকে ড্রপ আউট হয়ে যাওয়ার কারণে বিষয়টি নথিভুক্ত হয় না৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রদত্ত কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকাও যৌতুক হিসেবে কোথাও কোথাও দেওয়া হয়েছে, এমনও নজির আছে এ তল্লাটে৷''
ভারত সরকার মেয়েদের জন্য ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও' প্রকল্প নিয়েছে৷ ১৬১টি জেলায় এই প্রকল্পের কাজ চলছে৷ সরকারি স্তরে চেষ্টা রয়েছে, কিন্তু জনসচেতনতা কই! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী জানিয়েছেন, কলকাতায় প্রতি হাজার পুত্র সন্তানপিছু কন্যার সংখ্যা ছিল ১০২২৷ সেটাই এখন কমে হয়েছে ৮৯৮৷ কন্যাভ্রূণ হত্যার জন্য আনুপাতিক হারে মেয়েদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে৷ যে কারণে কন্যাসন্তানে ঘাটতি, সেই মানসিকতা থেকেই যৌতুক আদায়ের প্রবণতা৷ এই প্রবণতায় যে ছেদ পড়েনি, বাড়তে থাকা মামলার সংখ্যা তার প্রমাণ৷ বারাসত আদালতের অভিজ্ঞ আইনজীবী রথীন বসু ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পণপ্রথার অভিযোগে অতীতে যে মামলা হত, বর্তমানে তা কমেনি৷ এখনও অসংখ্য মামলা আমাদের লড়তে হয়৷ পণ চাওয়া ও দেওয়ার ধরনটা বদলে গেছে৷ ধরুন, কন্যাপক্ষ স্বেচ্ছায় পাত্রকে আসবাবপত্র দিচ্ছেন৷ তখন পাত্রপক্ষ দাবি করছে, সেগুলি যেন সেগুন কাঠের হয়৷ একইভাবে বেশি ওজনের সোনার গয়না দাবি করা হচ্ছে৷ অর্থাৎ টাকার হাতবদল হচ্ছে না বটে, বিপুল টাকায় কেনা উপঢৌকন দেওয়া হচ্ছে৷'' কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও এই প্রবণতা কেন কমছে না? সমাজতাত্ত্বিকদের মতে, পণ দেওয়া নেওয়ার ব্যাপারে শহর-গ্রাম-ধনী-দরিদ্রের কোনো ভেদাভেদ নেই৷ অনেকক্ষেত্রেই বিত্তবান কন্যাপক্ষ যৌতুক দেওয়াকে সামাজিক মর্য্যাদার সূচক বলে মনে করে৷ এখনও দেখা যায়, প্রগতিশীল পাত্রপক্ষ পণ গ্রহণে অরাজি হলেও পাত্রীর পিতা পণপ্রথাকে প্রশ্রয় দেয়৷
সতীদাহ প্রথা আইন করে রোধ করা সম্ভব হয়েছে৷ এ কাজে ভারতীয়দের পাশে ছিল ইংরেজরা৷ কিন্তু পণপ্রথা কেন আইন করে রোখা গেল না? পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, আইন থাকলেও তার প্রয়োগ যথাযথ ভাবে হয় না৷ যদিও খাতায়-কলমে যৌতুক রুখতে আইন হয়েছে প্রায় ছয় দশক আগে৷ ১৯৬১ সালে ভারতীয় সংসদে পাশ হয় পণপ্রথা রোধ আইন৷ ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে সংশোধনীর মাধ্যমে আরও জোরালো করা হয়েছে আইনের ধারা৷ জামিন-অযোগ্য মামলায় গ্রেপ্তারি তো বটেই, অপরাধ প্রমাণিত হলে ন্যূনতম সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে এই আইনে৷ অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজাও হতে পারে৷ তা সত্ত্বেও সারা দেশের মতো তথাকথিত প্রগতিশীলদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও যৌতুকের রমরমা কমেনি৷ মাঝেমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে দেখা যায়, পিঙ্কি মালিকের মতো পণের বলি হয়েছেন কোনো বধূ৷ আবার যৌতুকের আধুনিকতম সংস্করণে পড়ে চাকুরিরতা মহিলা৷ সুনন্দা মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘চাকরিরত মহিলারা নিজেরাই এটিএম৷ যাঁর টাকা শুধু তাঁর নিজের কাজেই লাগবে, এমনটা নয়৷ পরিবারের অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহারযোগ্য সে টাকা আদতে যৌতুকেরই নামান্তর৷ তাই বিয়ের বাজারে তাঁদের দাম সবচেয়ে বেশি৷''
কেন জোরালো আইন থাকলেও যৌতুকলোভীদের হাতকড়া পরানো যাচ্ছে না? সুনন্দা বলেন, ‘‘আইনে বলা আছে, যৌতুক হিসেবে কী জিনিস দেওয়া হলো, তা কন্যাপক্ষকে নথিবদ্ধ করতে হবে সরকারের খাতায়৷ জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিকের কাছে গিয়ে এর বিবরণী নথিবদ্ধ করতে হয়৷ এর উদ্দেশ্য, পরবর্তীতে কোনো গার্হস্থ্য বিবাদ উদ্ভূত হলে এই নথির ভিত্তিতে বিচার করা যাবে৷ কিন্তু কেউই যৌতুকে প্রদত্ত জিনিসপত্র নথিভুক্ত করেন না৷ তাই আইন কোনো কাজে আসে না৷''
যৌতুকের দায়ে নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংগঠন৷ দমদমের পুরসভার পারিষদ, আইনজীবী রিঙ্কু দত্ত দে জানান, ‘‘আর্থিক সামর্থ্য না থাকলে মহিলারা বাইরে থেকে আইনজীবী না নিয়ে সরাসরি সরকারের কাছে আবেদন করতে পারেন৷ এর ফলে সরকারি আইনজীবী তাঁর তরফে মামলা লড়বেন৷ পণের দাপট রুখতে এই আইনি পরিষেবাটা তাঁদের দেওয়া হয়ে থাকে৷''
ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলাদের তালাক রুখতে পথ দেখিয়েছে আইনি লড়াই৷ মুসলিম মহিলারা মুক্তির আলো দেখে কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগকে সমর্থন করছেন৷ রাজনীতির বিশ্লেষকরা বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্রে হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপির জয়েই প্রমাণ, বোরখার আড়ালে থাকা মুসলিম মহিলারা পুরুষের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে নরেন্দ্র মোদীর দলকে সমর্থন করেছেন৷ অর্থাৎ এই আইনি লড়াই মুসলিম মহিলাদের মাধ্যমে এক সামাজিক আন্দোলনের জন্ম দিয়ে দিয়েছে যার চাপে এখন দিশেহারা মৌলবীরা৷ একইভাবে কি পণপ্রথার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা যায় না? যেখানে ১৯৬১-র আইনের মতো একটা জোরালো হাতিয়ার রয়েছে?
ফিরিঙ্গি সাহেবদের প্রতি ঘৃণা থাকলেও, এ দেশে বিয়ের পাত্রী হিসেবে ফর্সা মেয়েদের জয়জয়কার৷ সমীক্ষা এবং ঘটনা অনুযায়ী, আপাতভাবে কালো মেয়েদের জন্য যৌতুকের ব্যবস্থা করতে হয় পরিবারকে৷ পণবিরোধী প্রচারের চেয়ে সেখানে গুরুত্ব পায় বহুজাতিক কোম্পানির ফর্সা হওয়ার ক্রিমের বিজ্ঞাপন৷ এর বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে হবে এবং তার পাশাপাশি আইনি হাতিয়ারটাকে জোরালোভাবে ব্যবহার করতে হবে৷ সুনন্দা মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘যৌতুক নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে সরকারি স্তরে পণপ্রথা রোধ আইন নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো দরকার৷ সবাই আইনের কথা জানেই না৷ যে ভাবে পোলিও টিকাকরণের ক্ষেত্রে প্রচারে সাফল্য এসেছে, এক্ষেত্রেও সাফল্য আসতে পারে৷''
এ বিষয়ে আপনার কোনো মতামত থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷