পরমাণু: ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা ম্যার্কেলের
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ইরান ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি মানছে না। তারা এখন সীমার বাইরে গিয়ে ইউরেনিয়াম মজুত করছে। বিশ্বের অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে, ইরান পরমাণু বোমা বানাতে চাইছে। সে জন্যই তারা এভাবে ইউরেনিয়াম মজুত করছে। এই প্রেক্ষিতে রুহানির সঙ্গে ম্যার্কেলের কথা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ম্যার্কেল রুহানিকে জানিয়ে দিয়েছেন, ইরান ২০১৫-র চুক্তি না মানায় তিনি রীতিমতো উদ্বিগ্ন। জার্মানি এবং চুক্তিতে অন্য যে সব দেশ সই করেছিল, তারা চাইছে, ইরান তা মেনে চলুক। বিশেষ করে জার্মনি চায়, এই চুক্তি বহাল থাকুক।
২০১৫ সালের চুক্তি অনুসারে, ইরান পরমাণু বোমা বানাতে পারবে না। তাদের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলি নিয়মিত দেখতে পারবে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা। আর ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও ক্রমশ শিথিল করা হবে। কিন্তু এই চুক্তিতে সই করলেও ট্রাম্পের আমলে অ্যামেরিকা তা থেকে সরে আসে। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি আবার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
ইরানের প্রেসিডেন্টকে ম্যার্কেল বলেছেন, এখন ইতিবাচক বার্তা দেয়াটা জরুরি। তা হলেই দুই পক্ষের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক গড়ে উঠবে। তাই তিনি চান, ইরান পরমাণু চুক্তি মেনে চলুক। চুক্তির বাইরে গিয়ে তারা যেন কোনো পদক্ষেপ না নেয়।
এই পরমাণু চুক্তি নিয়ে এবার অ্যামেরিকার সঙ্গে ইউরোপীয় দেশের আলোচনা হবে। কী করে এই চুক্তিকে বহাল ও কার্যকর রাখা যায় তা খতিয়ে দেখা হবে। ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রী প্যারিসে জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারপর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অ্যামেরিকার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের কথা হবে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলেছেন, তিনি এই চুক্তিতে আবার যোগ দেয়ার চেষ্টা করবেন। তবে তার আগে ইরানকে পরমাণু-ক্ষেত্রে কিছু সিদ্ধান্ত বদল করতে হবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা টেলিভিশনে বলেছেন, ''আমরা অনেক ভালো ভালো কথা শুনেছি। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে তার কিছুই হয়নি। বরং তার উল্টো কাজ করা হয়েছে। প্রতিশ্রুতি ভালো। কিন্তু এবার আমরা অন্য পক্ষের কাছ থেকে আগে কাজ দেখতে চাই। তারপর আমরাও পদক্ষেপ নেব। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন, তা প্রত্যাহার করার জন্য এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে ইরান। না হলে খুব কম সময়ের নোটিসে তাদের পরমাণু কেন্দ্রে সফরের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।''
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সির ডিরেক্টর জেনারেল ইরান সফরে যাচ্ছেন। তিনিও সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা করবেন।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)