পরমাণু চুক্তি: ইরানের উপর চাপ অ্যামেরিকার
২৩ ডিসেম্বর ২০২১বুধবার ইসরায়েলে গিয়েছিলেন মার্কিন জাতীয় উপদেষ্টা জেক সুলিভান। ইসরায়েল প্রশাসনের একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। কথা বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গেও।
ইরান এবং ইসরায়েলের অন্যান্য সমস্যা নিয়ে এদিন দীর্ঘ বৈঠক করেছেন বেনেট। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, অনেক দিন ধরেই ইরানকে সঙ্গে নিয়ে নতুন পরমাণু চুক্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছে অ্যামেরিকা। কিন্তু অনন্তকাল সময় দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে কূটনৈতিক আলোচনার জন্য ইরানের হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। ক্যালেন্ডারে নির্দিষ্ট দিন চিহ্নিত করে দিতে চাননি জেক। কিন্তু কথাবার্তায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, খুব বেশি হলে আর এক সপ্তাহ সময় পাবে ইরান। নইলে আলোচনা ভেস্তে দিতে পারে অ্যামেরিকা। এবং তার ফল ভালো হবে না। এদিন কার্যত হুমকির সুরেই ইরানকে সতর্ক করেছেন জেক।
ইরান ছাড়াও ইসরায়েলের অন্যান্য সমস্যা নিয়েও এদিন কথা বলেছেন জেক। জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেই কাজ করবে অ্যামেরিকা। অন্যদিকে বৈঠকের পর বেনেট জানিয়েছেন, অ্যামেরিকা যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা পাবে। ইসরায়েলের জন্য যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বস্তুত, জেক বলেছেন, কোনোভাবেই যাতে ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে সই করা অন্য দেশগুলির বৈঠক চলছে। কিছু বিষয়ে সহমত হলেও সবকিছু এখনো মেনে নেয়নি ইরান। ফলে চুক্তি চূড়ান্ত হয়নি। ২০১৫ সালে প্রথম পরমাণু চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে ট্রাম্পের অ্যামেরিকা তা থেকে বেরিয়ে যায়। পুরনো সেই চুক্তিই নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)