1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজপাকিস্তান

পাকিস্তান আদালতের ঐতিহাসিক রায়, ইমরানের ধাক্কা

৮ এপ্রিল ২০২২

ডেপুটি স্পিকারের রুলিং খারিজ। পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের রায়, শনিবার অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে হবে ইমরান খানকে।

https://p.dw.com/p/49dwE
পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ধাক্কা খেলেন ইমরান খান। ছবি: Chip Somodevilla/Getty Images

ঐতিহাসিক রায় দিলো পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট। ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার খারিজ করে দিয়েছিলেন বিদেশি চক্রান্তের প্রসঙ্গ তুলে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়, ডেপুটি স্পিকারের রুলিং অসাংবিধানিক। ইমরানের সুপারিশ মেনে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সেই নির্দেশও অসাংবিধানিক। তারা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিকে পুনরুজ্জীবীত করেছে। সংক্ষিপ্ত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, শনিবার সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন ডাকতে হবে। অনাস্থা ভোটপর্ব নিয়ে বেশি দেরি করা চলবে না। আর অনাস্থা ভোটের ফলাফল ঘোষণা না করে অধিবেশন শেষ করা যাবে না।

ইমরানের রাজনৈতিক ধাক্কা

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে রাজনৈতিক ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্রিকেটার থাকার সময় অনেক হারা ম্যাচ জিতিয়েছেন ইমরান। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে যেভাবে তিনি বিরোধীদের আনা অনাস্থার মোকাবিলা করতে চাইছিলেন, তা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে বানচাল হয়ে গেল। প্রবীণ সাংবাদিক আশিস গুপ্ত ডিডাব্লিউকে বলেছেন, এটা ইমরানের রাজনৈতিক জীবনে বড় ধাক্কা হয়ে থাকবে।

ইমরান শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে পারেন। ইমরান আবার জানিয়েছেন, তিনি শেষ বল পর্যন্ত লড়বেন।

সুপ্রিম কোর্টের রায়

সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছে মতৈক্যের ভিত্তিতে। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে রায় নিয়ে কোনো মতবিরোধ ছিল না। সংক্ষিপ্ত রায়ে বিচারপতিরা বলেছেন, ডেপুটি স্পিকারের রুলিং সংবিধান ও আইনসম্মত নয়। এর কোনো আইনি বৈধতা নেই। রায়ে বলা হয়েছে, ওই অবস্থায় ইমরান খান সংবিধান অনুসারে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেয়ার সুপারিশ করতেই পারেন না। তার সুপারিশের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তও তাই অসাংবিধানিক। এর ফলে প্রধানমন্ত্রী, সব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, পরামর্শদাতারা তাদের পদ ফিরে পাবেন বলে রায়ে বলা হয়েছে।

সেই সঙ্গে বিচারপতিরা এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই রায়ের সঙ্গে দলত্যাগবিরোধী আইনের কোনো সংযোগ নেই। দলত্যাগ বিরোধী আইন তার মতো করে লাগু হবে।

বিরোধীদের দাবি

বিরোধীরা দাবি করছেন, তাদের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বিরোধী নেতা শাহবাজ শরিফ সাংবাদিকদের বলেছেন, আদালত মানুষের প্রত্যাশা পূর্ণ করতে পেরেছে। পিপিপি নেতা বিলাওয়াল ভুট্টোর মতে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে গণতন্ত্র ও সংবিধান জয়ী হলো।

বালিওয়াল বলেছেন, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এবার ভোটাভুটি হবে। তারপর বিরোধীরা ক্ষমতায় আসবে। নির্বাচনী সংস্কার হবে। এরপর স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোটে যাওয়া হবে।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, দ্য ডন)