1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ইমরান খান

১৪ আগস্ট ২০১৯

কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা কাশ্মীর সফরে গিয়েছেন৷ দেশটির স্বাধীনতা দিবসে এই সফর পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ দুটোর মধ্যে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে৷

https://p.dw.com/p/3NsEz
ছবি: Reuters/Mary F. Calvert

পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৪ আগস্ট, ভারতের ১৫ আগস্ট৷ কাশ্মীর সংকটকে কেন্দ্র করে রাজনীতি চলছে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশেই৷ ইস্যুটিকে কেন্দ্র করে ফায়দা নিতে ঠিক সময়টিকেই বেছে নিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা বাতিল' ঘোষণার এক সপ্তাহ পর ঠিক স্বাধীনতা দিবসটিকেই বেছে নিলেন পাকিস্তান অংশ সফরের জন্য৷

পাকিস্তান এরই মধ্যে ইস্যুটিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ করছে৷ রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার, রেল ও বাস যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া, ভারতীয় সিনেমা প্রচার বন্ধ করা, চীনের সহায়তা কামনা, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানানো, এমন নানা পদক্ষেপ এসেছে পাকিস্তানের দিক থেকে৷

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলছে, ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে সংহতি জানাতেই ইমরান খান পাকিস্তান অংশে স্বাধীনতা দিবস পালন করছেন৷ সকালে দেয়া এক বিবৃতিতে ইমরান ৫ আগস্ট ভারতের নেয়া সিদ্ধান্তের আবারও কড়া সমালোচনা করেছেন৷ আইনসভায় এ নিয়ে তার একটি বক্তব্য দেয়ারও কথা রয়েছে৷

রাহুল-মালিক বাগযুদ্ধ

কাশ্মীর ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের গভর্নর সত্য পাল মালিকের মধ্যে কয়েকদিন ধরেই বাগযুদ্ধ চলছে৷ কাশ্মীরে ‘সহিংস আন্দোলন চলছে', রাহুলের এমন মন্তব্যের পর মালিক তাকে কাশ্মীর সফরের আমন্ত্রণ জানান৷ এমনকি প্রয়োজনে বিমান পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছিলেন তিনি৷

জবাবে রাহুল এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বিরোধী নেতাদের একটি দল নিয়ে কাশ্মীর যাওয়ার ঘোষণা দেন৷ এক টুইটে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বিমান লাগবে না৷ কিন্তু দয়া করে আমাদের চলাফেরা ও সাধারণ মানুষ, মূলধারার রাজনৈতিক নেতা ও সেখানে অবস্থানরত সেনাদের সঙ্গে কথা বলার স্বাধীনতা দেবেন৷''

কিন্তু এবার গভর্নর মালিকের অন্য সুর৷ বিরোধী নেতাদের দল নিয়ে হেফাজতে থাকা নেতাদের সঙ্গে দেখা করে রাহুল কার্যত ‘অস্থিরতা' সৃষ্টি করতে চাইছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি৷

সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহসহ অনেক কাশ্মীরি নেতাই এখন আটক রয়েছেন৷

গভর্নর কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ‘রাহুল গান্ধী বিষয়টিকে রাজনৈতির রূপ দেয়ার চেষ্টা করে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ তৈরির চেষ্টা করছেন৷'

গভর্নর এত ‘পূর্বশর্ত' দিয়ে তাকে আমন্ত্রণ জানাননি এবং রাহুলের অনুরোধ বিবেচনার জন্য ‘স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে' বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে৷

তবে রাহুলও চুপ থাকেননি৷ মালিকের বিবৃতিকে ‘দুর্বল মন্তব্য' আখ্যা দিয়ে তিনি আবার টুইট করেন৷ এবার তিনি বলেন, ‘‘আপনার কাশ্মীর সফর ও জনগণের সঙ্গে কথা বলার আমন্ত্রণ আমি গ্রহণ করলাম, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই৷ আমি কবে আসতে পারি?''

তবে মালিকের তরফ থেকে রাহুলের সবশেষ টুইটের এখনও কোনো প্রতিউত্তর আসেনি৷

ভারতের স্বাধীনতা দিবস

থমথমে পরিস্থিতির মধ্যেও কাশ্মীর উপত্যকায় ভারতের স্বাধীনতা দিবস জমকালো আয়োজনে পালনের ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন৷ কিন্তু ১৫ আগস্টকে সামনে রেখে আরো কড়া নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে

পরিস্থিতি পুরোপুরি ‘নিয়ন্ত্রণে' বলে জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ৷ ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, নিরাপত্তাও শিথিল করা হবে বলে জানিয়েছে তারা৷ পরিস্থিতি বিবেচনা করে আটক রাজনৈতিক নেতাদেরও মুক্তি দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে৷

এডিকে/এসিবি (এএফপি, এপি)