পাকিস্তানে কোরান পোড়ানোর অভিযোগে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু
২২ জুন ২০২৪এরপর তার মরদেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়বলে সোয়াত জেলা পুলিশের এক সূত্র এএফপিকে জানিয়েছেন৷
ঐ ব্যক্তিকে থানা থেকে বের করে পেটানো হয় বলে জানান ঐ পুলিশ কর্মকর্তা৷ তিনি বলেন, ‘‘২০ জুন সন্ধ্যায় মদিয়ান এলাকার স্থানীয়রা কোরান পোড়ানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছিল৷ এরপর পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় থানায় নিয়ে যায়৷'' কিন্তু পরবর্তীতে স্থানীয় মসজিদ থেকে আহ্বান জানানোর পর কিছু মানুষ থানায় উপস্থিত হয়ে পাথর নিক্ষেপ শুরু করেন৷ ‘‘ক্ষুব্ধ জনতাকে সরাতে পুলিশ আকাশের দিকে সতর্কতামূলক গুলি ছোড়ে৷ এতে জনতা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে৷ এরপর তারা ঐ ব্যক্তিকে থানা থেকে বের করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেন,'' বলে জানান পুলিশের ঐ সূত্র৷
এরপর কয়েকজন পেট্রোল ঢেলে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন বলেও জানান তিনি৷
স্থানীয় এক কর্মকর্তা ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, হত্যার পর বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে৷ ফলে পুলিশ থানা থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়৷
নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ ইসমাইল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি৷
এদিকে, পুলিশের এক মুখপাত্র ওয়াজিদ রসুল জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএকে জানান, ঐ ব্যক্তি একজন পর্যটক ছিলেন৷ পাঞ্জাবের শিয়ালকোট থেকে এসেছিলেন তিনি৷ তবে তিনি একাই এসেছিলেন কিনা তা নিশ্চিত নয় বলে জানান রসুল৷
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ৷
পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মানুষকেপিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা নতুন নয়৷ গত মে মাসের শেষদিকে পাঞ্জাবে কোরানের পাতা পোড়ানোর অভিযোগে নাজির মাসিহ নামে ৭২ বছরের এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়েছিল জনতা৷ পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান৷
এছাড়া গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে পাঞ্জাবে কোরান অবমাননার অভিযোগে এক মুসলিম ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)