পাকিস্তানে টিএলপি-পুলিশ সংঘর্ষ, হত তিন
১৯ এপ্রিল ২০২১ঘটনাটি ঘটেছে লাহোরে। রোববার পুলিশ স্থানীয় এতিমখানা চকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়। টিএলপি কর্মীদের অভিযোগ, সেখানে পুলিশের গুলিতে তিনজন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ডিডাব্লিউ-র প্রতিনিধি ফারহা বাহগত জানিয়েছেন, টিএলপি নেতারা ভিডিও বার্তায় বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে বের করা না হচ্ছে, ততক্ষণ তারা মৃতদেহ কবরে দেবেন না।
পুলিশের দাবি, লাহোরে সশস্ত্র টিএলপি কর্মীরা একটি থানা আক্রমণ করে। সেখান থেকে ডিএসপি-কে অপহরণ করে মারকাজে নিয়ে যায়। তারা পুরো থানা দখল করে নেয়। তারা ৫০ হাজার লিটার পেট্রোল ভর্তি একটি তেলের ট্যাঙ্কারও মারকাজে নিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায়। তবে মারকাজে তারা যায়নি, সেখানে গুলিও চালায়নি। তারা শুধু থানা থেকে টিএলপি কর্মীদের সরিয়ে দিয়েছে।
বস্তুত লাহোরের চেহারা ছিল যুদ্ধক্ষেত্রের মতো। বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছে। মোট ১১ জন পুলিশ অফিসার ও কর্মীকে বিক্ষোভকারীরা অপহরণ করে। পরে অবশ্য তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ১৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ কর্মীদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে বলে পুলিশ কর্তাদের অভিযোগ।
আলোচনা চলছে
টিএলপি-কে সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। টিএলপি-র দাবি ছিল, সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে পাকিস্তান থেকে বের করে দেয়া হবে। ফ্রান্সে মহানবী(সাঃ)-র কার্টুন প্রকাশের অপরাধে রাষ্ট্রদূতকে বের করার দাবি তুলেছিল টিএলপি। পাকিস্তানে ধর্মনিন্দা অপরাধ। টিএলপি-র দাবি, এখন প্রতিশ্রুতি রাখুক সরকার। সরকার জানায়, তারা বিষয়টি আলোচনা করার কথা বলেছিল মাত্র। তারপর দেশজুড়ে সহিংস আন্দোলন শুরু করেছে টিএলপি। তাদের প্রধান নেতা সাদ রিজভিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই অবস্থায় সরকারের সঙ্গে টিএলপি নেতাদের আলোচনাও শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ বলেছেন, প্রথম দফার আলোচনা ভালোভাবে হয়েছে। এবার দ্বিতীয় দফার আলোচনায় বিরোধ মিটতে পারে বলে তিনি আশাবাদী।
জিএইচ/এসজি(ডন, এএফপি)