পাকিস্তানে মন্দিরে হামলা, ২৬ জন গ্রেপ্তার
৩১ ডিসেম্বর ২০২০পুলিশ কর্মকর্তা রহমতুল্লাহ ওয়াজির রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কারাকের মুসলমান নেতারা মন্দির সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করবেন বলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিক্ষোভের সময় নেতারা 'উসকানিমূলক বক্তব্য' দেয়া শুরু করেন বলে জানান তিনি। এরপর মন্দিরে আগুন দেয়া হয়। এছাড়া হামলার ভিডিও ফুটেজে হাতুড়ি দিয়ে মন্দিরেরদেয়াল ভাঙতে দেখা গেছে।
আরেক পুলিশ কর্মকর্তা ফজল এএফপিকে জানান, হামলার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ২৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আরও ৫০ জনের খোঁজ চলছে। ভিডিও দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।
পাকিস্তানের ধর্মমন্ত্রী নুরুল হক কাদরি হামলাকে 'ধর্মীয় সম্প্রীতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র' বলে মন্তব্য করেছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রার্থনাস্থলে হামলা ইসলাম সমর্থন করেনা। 'সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা আমাদের ধর্মীয়, সাংবিধানিক, নৈতিক ও জাতীয় দায়িত্ব' বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
পেশোয়ার থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত কারাক জেলায় ১৯ শতকের শুরুতে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে সেটি একবার ভাঙচুর করা হয়। পরে ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট এটি পুনর্নিমাণের নির্দেশ দেন।
পাকিস্তানের প্রায় ৮০ লাখ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় চারটি ধর্মীয় স্থানের মধ্যে এই মন্দির একটি বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের প্রধান ও সরকারি দলের সাংসদ রমেশ কুমার ভাঙকওয়ানি।
এর আগে গত জুলাই মাসে রাজধানী ইসলামাবাদে প্রথম হিন্দু মন্দির নির্মাণের জায়গায় হামলা হয়েছিল।
জেডএইচ/কেএম (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)