1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানের বাজাউরে হামলার দায়িত্ব স্বীকার টিটিপি’র

২৬ ডিসেম্বর ২০১০

পাকিস্তানের বাজাউর জেলার ত্রাণকেন্দ্রে আত্মঘাতী হামলার দায়িত্ব স্বীকার করল তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান তথা টিটিপি৷ তাদের দাবি, স্থানীয়ভাবে তালেবান বিরোধী প্রতিরোধ গড়ে তোলার অপরাধেই এসব মানুষের উপর হামলা চালিয়েছে তারা৷

https://p.dw.com/p/zpmL
food, relief, World, Program, Pakistan, militants, Afghan border, guerrillas, attacks, ত্রাণ, হামলা, পাকিস্তান, বাজাউর, টিটিপি
এভাবে ত্রাণ নেওয়ার সময়ই অভাবী মানুষের উপর হামলা চালানো হয় শনিবারছবি: AP

তালেবান জঙ্গিদের হামলা কিংবা তালেবান বিরোধী সেনা অভিযানের ঘটনা পাকিস্তানে যেন একটা রুটিন হয়ে পড়েছে৷ তবে বড়দিনে ত্রাণ নিতে আসা নিরীহ মানুষদের উপর আত্মঘাতী হামলার ঘটনা নাড়া দিয়েছে মানুষের হৃদয়৷ ত্রাণের আশায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা অভাবী মানুষের উপর চালানো শনিবারের হামলাকে তাই মানবতার বিরুদ্ধে অবমাননা বলে নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ একইসাথে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে নিরপরাধ মানুষের উপর এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যালিস্টেয়ার বার্ট৷ ঐ হামলায় মৃতের সংখ্যা ৪৪ বলে জানিয়েছে জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ৷ আহত হয় অন্তত ৭০ জন৷ আহতদের মধ্যে আট জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক আফিফ খান৷

এদিকে, এমন নৃশংস হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে বার্তা প্রকাশ করেছে তালেবান গোষ্ঠীর অন্যতম শাখা টিটিপি৷ তাদের মুখপাত্র আজম তারিক বলেছে, ‘‘এই উপজাতির লোকেরা সরকারি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছে৷ তাই আমরা তাদেরকে তার শাস্তি দিয়েছি৷ স্রষ্টার নামে শপথ করে আমরা বলতে চাই যে, ভবিষ্যতে যারা সরকারকে সহযোগিতা করবে তাদের বিরুদ্ধেও আরো এরূপ হামলা অব্যাহত রাখবো আমরা৷''

অন্যদিকে, একইদিনে মোহমান্দ উপজাতীয় অঞ্চলে অভিযান চালিয়েছে সরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা৷ এতে ৪০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করছে সরকারি সূত্র৷ মোহমান্দের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমজাদ আলি খান বলেন, হেলিকপ্টার থেকে গোলা বর্ষণ করা হয় জঙ্গি আস্তানা লক্ষ্য করে৷ ফলে সেখানে থাকা জঙ্গিরা নিহত হয়৷ কিন্তু এসব অভিযানে নিহতরা আদৌ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে বরাবরই৷ এমনকি এসব অভিযানেও বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন বলেও আশঙ্কা বিশ্লেষকদের৷

২০০৭ সালে ইসলামাবাদে চরমপন্থীদের একটি মসজিদে সরকারি বাহিনীর অভিযান থেকে এপর্যন্ত অসংখ্য হামলা ও অভিযানে প্রায় চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে৷ ফলে এসব সরকারি অভিযানের যথার্থতা নিয়েও কিছুটা ক্ষোভ বিরাজ করছে স্বয়ং পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের মনে বলে একাধিক সূত্রের খবর৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম