পিনা বাউশকে নিয়ে ডকুমেন্টারি অস্কার পেতে পারে
২৫ জানুয়ারি ২০১২পরিচালক ভিম ভেন্ডার্স জানান, এধরণের একটি ছবি তৈরি করতে তাঁর কুড়ি বছর সময় লেগেছে৷ উন্নতমানের প্রযুক্তির জন্য তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন৷ শেষ পর্যন্ত থ্রি ডিতে ছবিটি তৈরি করেন তিনি৷ ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবি দর্শকদের সত্যিকার অর্থে নাড়া দেয়৷ এর আগেও একবার সেরা ডকুমেন্টারির অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন ভিম ভেন্ডার্স৷ ছবির নাম ‘বুয়েনা ভিস্টা সোশাল ক্লাব'৷
পিনা বাউশ ২০০৯ সালে পরলোক গমন করেন৷ বিশ্বব্যাপী তিনি খ্যাতি কুড়িয়েছিলেন৷
‘পিনা' তাঁরই জীবন নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র৷ তাঁর নাচ, নাচের প্রতি মোহ, আবেগ এবং ভালবাসাকে দেখানো হয়েছে এতে৷ অসংখ্য নাচের মুদ্রা এবং ভঙ্গিমা দেখানো হয়েছে৷ খোলা আকাশের নীচে, সমুদ্রের কাছে, শহরের কোলাহলের মাঝখানে মানুষ নেচে নেচে বেড়াচ্ছে৷ নাচ হচ্ছে ভালবাসা, ভালবাসার অর্থ হল নাচ৷ নাচের মধ্যে দিয়ে মানুষের প্রতিটি আবেগকে তুলে ধরা সম্ভব৷ সেটা হোক, ভাললাগা, ভালবাসা, ক্রোধ, অবজ্ঞা, শক্তি, ক্ষমতা – সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে ডকুমেন্টারিতে৷
পিনা বাউশের নৃত্যকলা কেন্দ্র জার্মানির ভুপার্টাল শহরে অবস্থিত৷ নাম ‘টান্স থেয়াটার ভুপার্টাল'৷ নাচ আর থিয়েটার মিলে নৃত্যকলার এক অপূর্ব প্রকাশ ঘটেছে পিনা বাউসের নির্দেশনায়৷বিশ্বের অসংখ্য বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী এখানে এসেছেন, অনুষ্ঠান করে গেছেন৷ পিনা বাউশের কোরিওগ্রাফি এবং নাচ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন৷
পিনা বাউশ দক্ষিণ অ্যামেরিকায় বেশ কয়েকবার গিয়েছেন, অনুষ্ঠান করেছেন৷ সবসময়ই তিনি বিভিন্ন দেশের নাচের সঙ্গে নিজস্ব ভঙ্গির ফিউশান তৈরি করে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন৷ এবং দর্শকরা তা সাদরে গ্রহণ করেছেন৷ পিনা বাউশ তাঁর দল নিয়ে একাধিকবার কোলকাতা গিয়েছিলেন৷ অনুষ্ঠান করেছেন৷ শেষবার গিয়েছিলেন ২০০৬ সালে৷ কোলকাতার মাক্স মুলার ভাবানের আমন্ত্রণে৷
‘পিনা'-র পরিচালক ভিম ভেন্ডার্স জানান, তিনি এই ছবিটি তৈরি করতে চেয়েছিলেন পিনা বাউশকে সঙ্গে নিয়ে৷ কিন্তু তা সম্ভব হয়নি৷ পিনা বাউশের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই ভিম ভেন্ডার্স তৈরি করেছেন ডকুমেন্টারি ‘পিনা'৷ তা সমাদৃত হয়েছে দেশে এবং বিদেশে৷ ডকুমেন্টারি ‘পিনা' ইতিমধ্যেই জর্মান ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড এবং ইউরোপীয় ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডে সেরা ডকুমেন্টারির পুরস্কার জিতে নিয়েছে৷ এখন বাকি শুধু অস্কার৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক