1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পিরামিডে নগ্ন ফটোশুট!

১২ ডিসেম্বর ২০১৮

মিসরের গিজা পিরামিডে নগ্ন ফটোশুটের এক বছরের মাথায় ভাইরাল হলো পিরামিডে নগ্ন হয়ে করা ভিডিও৷ এই ভিডিশুটে অংশ নিয়েছেন ড্যানিশ ফটোগ্রাফার আন্দ্রেয়া হভিড ও তাঁর এক নারী সঙ্গী৷

https://p.dw.com/p/39v5B
Ägypten: Die Giseh Pyramiden
ছবি: picture-alliance/H. Champollion

এত কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে কী করে এই ভিডিশুট সম্ভব হলো তা নিয়েই চলছে জোর হট্টগোল৷ তবে মিসরীয় প্রশাসন এই ভিডিওকে বাস্তব কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছে৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, কায়রো শহরকে ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে রেখে গিজা শহরের ওই পিরামিডে যে ভিডিওশুট করা হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে৷ 

ভিডিওতে দেখা যায়, ফটোগ্রাফার হভিড ও তাঁর সঙ্গী ওই নারী পিরামিড বেয়ে উঠছেন৷ কুফু পিরামিডে উঠে গায়ের পোশাক খুলে ফেলেন৷

ড্যানিশ ট্যাবলয়েড এক্সট্রা ব্ল্যডেটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফটোগ্রাফার আন্দ্রেয়া হভিড বলেন, ‘‘আমার বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে এই শুটের মাধ্যমে৷ আমি সবসময় স্বপ্ন দেখে এসেছি পিরামিড বেয়ে ওঠার৷ সেটি সত্য হলো৷'' এই ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘‘কয়েকজন মিসরীয় এতে বিব্রত হলেও আমি প্রচুর প্রশংসাও পেয়েছি৷'' তবে ভিডিও প্রকাশের আগেই হভিড মিসর ছেড়েছেন আর কখনো সেখানে যাবার ইচ্ছা নেই তাঁর৷

গিজার প্রশাসন প্রধান আশরাফ মহী দৈনিক আল আহরামকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘‘শোনা যাচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীকে ঘুষ দিয়ে এই আয়োজন করেছে হভিড৷ নতুবা ১৮ কিলোমিটারের নিরাপত্তা বেষ্টনির ভেতরে এ ধরনের কাজ করা সম্ভবপর নয়৷''

অন্যদিকে মিসরীয় পুলিশ জানিয়েছে, প্রকাশ্য নগ্নতা মিসরে নিষিদ্ধ, পিরামিডে এই ধরনের কাজ রীতিমতো অবৈধ৷ এটির তদন্ত চলছে৷ ঘটনাটি আদৌ তাঁরা ঘটিয়েছেন, নাকি পুরো বিষয়টি এক ধরনের ‘স্টান্ট' সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

তবে মিসরের জনগণ এই ঘটনাকে অবৈধ ও পিরামিডের মাহাত্মের প্রতি অসম্মানজনক হিসেবে দেখছেন৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তোলপাড় আলোচনা৷

উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে এই গিজাতেই নগ্নশুট করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন বেলজিয়ামের মডেল মেরিসা৷ তিনি  গিজার পিরামিড ও মিশরীয় প্রাচীন মন্দিরের সামনে ফটোশুট করতে গিয়েছিলেন৷নগ্ন ফটোশুটের জন্য স্থানীয় এক গাইডকে মোটা অঙ্কের ঘুষও দিতে হয়৷ সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল৷ হঠাৎই মেরিসার ফটোশ্যুট দেখে ফেলেন চারজন নিরাপত্তারক্ষী৷ ঘটনাস্থলেই মেরিসা ও ফটোগ্রাফারকে গ্রেফতার করেন তাঁরা৷ ওই অবস্থাতেই দু'জনকে জেলে ঢুকিয়ে দেয়া হয়৷ মেরিসা  বলেন, ‘'প্রায় দু' বছর ধরে ঘুরেছি ৫০টি দেশে৷ কখনো এরকম হেনস্থা হতে হয়নি, মিসরে যা হলো৷''

এলিজাভেথ শুমাখার/এফএ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য