উত্তর কোরিয়ার উপর কঠোর অবরোধ
৬ আগস্ট ২০১৭ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে চীন৷ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই রবিবার বলেছেন, জুলাইতে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাটা আবশ্যক হয়ে গিয়েছিল৷ তবে এর মাধ্যমে আসল উদ্দেশ্য সফল হবে না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি৷ ফিলিপাইন্সের রাজধানী ম্যানিলায় জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন৷ তাঁর মতে এই সংকট সমাধানের একমাত্র উপায় হলো আলোচনায় বসা৷ উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধের বিষয়ে ছয় জাতি আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি৷ সোমবার আসিয়ান দেশগুলোর অংশগ্রহণে ম্যানিলায় বার্ষিক নিরাপত্তা ফোরাম শুরু হতে যাচ্ছে৷ এই উপলক্ষ্যে এই ছয় জাতি, অর্থাৎ চীন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ বাকি দেশগুলোর প্রতিনিধিরা এখন ম্যানিলায় অবস্থান করছেন৷ তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের মুখপাত্র জানিয়েছেন ম্যানিলায় এ প্রসঙ্গে কোনো বৈঠকে বসতে রাজি নন তিনি৷
এ যাবৎকালের কঠোর নিষেধাজ্ঞা
গত মাসে দু'টি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ৷ শনিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটে প্রতিবেশী দেশগুলোসহ সব পক্ষ সর্বসম্মতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবটির পক্ষে সমর্থন জানায়৷ নতুন এই অবরোধের কারণে উত্তর কোরিয়ার বার্ষিক ৩০০ কোটি ডলার রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ প্রস্তাবে দেশটির কয়লা, লোহা, লোহার আকরিক, সিসা, সিসার আকরিক এবং সি-ফুড রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে৷
প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি পরিষদকে বলেছেন, ‘‘উত্তর কোরিয়া এখনো আমাদের জন্য হুমকি, উত্তরোত্তর এটি আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠছে৷'' এ বিষয়ে আরও পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি৷
এদিকে, উত্তর কোরিয়ারা বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হওয়ার পর শনিবার এক টুইটার বার্তায় এর প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
তিনি লিখেছেন, ‘‘জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অবরোধের পক্ষে এই মাত্র ১৫-০ ভোট দিয়েছে৷ চীন ও রাশিয়াও আমাদের সঙ্গে ভোট দিয়েছে৷ এটা অনেক বড় অর্থনৈতিক আঘাত!’’
এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)