শান্তির বার্তার সঙ্গে সামরিক প্রস্তুতি
২ আগস্ট ২০১৭প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে তর্জনগর্জন করে চললেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন কূটনৈতিক পথেই বিভিন্ন সংকট সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ এমনকি ইরান প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মতভেদের কথাও প্রকাশ্যে স্বীকার করেন তিনি৷শিকাগোর মতো শহর উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় এসে পড়ায় সে দেশের সঙ্গে সমঝোতার পথে এগোতে চান টিলারসন৷
টিলারসন মঙ্গলবার বলেছেন, ওয়াশিংটন উত্তর কোরিয়ার প্রশাসনকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনো প্রচেষ্টা চালাচ্ছে না৷ দুই কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণের ক্ষেত্রেও কোনো তাড়া নেই৷ তবে সে দেশকে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করতে হবে৷ উত্তর কোরিয়া নিরস্ত্রীকরণের পথ বেছে নিলে ওয়াশিংটন সরাসরি সে দেশের সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে আগ্রহী, বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তাঁর মতে, সম্ভাব্য মার্কিন হামলা প্রতিরোধ করতে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারের প্রয়োজন নেই৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সে দেশ হুমকি হয়ে উঠলে অ্যামেরিকাকে বাধ্য হয়ে তার জবাব দিতে হবে৷
উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গেও হোয়াইট হাউস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতবিরোধ স্পষ্ট হয়ে গেল৷ এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়ে উত্তর কোরিয়ার রাশ টেনে ধরতে চীনের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন৷
টিলারসন অবশ্য বলেন, চীন নয় – উত্তর কোরিয়াই বর্তমান এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী৷ চীনকে দায়ী না করলেও উত্তর কোরিয়ার উপর সে দেশের বিশাল প্রভাবের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি৷
রিপাবলিকান দলের সংসদ লিন্ডসে গ্র্যাহ্যাম বলেছেন, কূটনীতির মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি বন্ধ করা না গেলে ট্রাম্প সে দেশের উপর ভয়াবহ সামরিক হামলা চালাতে প্রস্তুত৷
অ্যামেরিকা এর মধ্যেই দূর পাল্লার আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে৷ ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেনবার্গ বিমান ঘাঁটিতে বুধবারই এই পরীক্ষা শুরু হচ্ছে৷ সাধারণত অনেক আগেই এমন পরীক্ষার কথা ঘোষণা করা হয়৷ এক্ষেত্রে অতি দ্রুত এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে৷
এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)