1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘পুরো বিশ্বের মনোযোগ আজ বন শহরের দিকে’

২১ জানুয়ারি ২০১৮

জার্মানির এসপিডি দল তাদের কংগ্রেসে প্রতিনিধিদের মধ্যে ভোটাভুটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে, ম্যার্কেলের রক্ষণশীল দলের সঙ্গে মহাজোট গঠনের আলোচনা শুরু করবে কিনা৷ সিদ্ধান্ত ‘না' হলে চ্যান্সেলরকে আবারও নির্বাচন দিতে হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/2rFD3
Bonn Außerordentlicher SPD-Parteitag Schulz Müntefering
ছবি: Reuters/W. Rattay

জোট গঠনের আলোচনার পক্ষে যদি এসপিডি’র কংগ্রেস সমর্থন দেয় এবং জোটের আলোচনা যদি সফল হয়, তবে ইস্টার নাগাদ জার্মানিতে সরকার গঠন হতে পারে৷ 

জার্মানির অন্যতম পুরোনো রাজনৈতিক দল এসপিডিও সংকটে রয়েছে৷ দলটির অন্তত ৬০০ প্রতিনিধি বিভিন্ন রাজ্য থেকে বন শহরে এসে জড়ো হয়েছেন৷ তারাই সিদ্ধান্ত দেবেন, চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী  দল সিডিইউ এবং তাদের সহযোগী দল সিএসইউ-এর সাথে মহাজোট গঠনের চূড়ান্ত আলোচনা তারা শুরু করবে কিনা৷ এসপিডি'র সাবেক নেতা এবং বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল বুধবার বিল্ড পত্রিকাকে বলেছেন, ‘‘এটা বললে বাড়াবাড়ি হবে না যে, রবিবার পুরো বিশ্বের চোখ থাকবে বন শহরের দিকে৷'' চ্যান্সেলর নিজেও নিশ্চয়ই বার্লিনে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে টিভি সেটের সামনেই বসে থাকবেন আজ পুরোটা সময়৷

না এর পক্ষে যারা
বিক্ষোভকারীরা এই জোটের বিরুদ্ধেছবি: Reuters/T. Schmuelgen

এসপিডি'র ৬০০ প্রতিনিধিই নন, ভোটে সিদ্ধান্ত জানাবেন দলের ৪ লাখ ৪০ হাজার সদস্য৷ তাই প্রতিনিধিদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত নয়৷ বনের এই সিদ্ধান্ত কেবল জানাতে পারে সিদ্ধান্তটা কোন দিকে যেতে পারে৷ এসপিডি কি ‘গ্রোকো'কে 'না' বলবে? (সিডিইউ/সিএসইউমহাজোটকে জার্মান ভাষায় ‘গ্রোকো' নামে ডাকা হয়৷) তবে এসপিডি’র বেশিরভাগ সদস্যই ম্যার্কেলের দলের সাথে জোট গঠনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে৷ তাদের আশংকা এর ফলে দলের জনপ্রিয়তায় আরও ভাটা পড়বে, ভবিষ্যতে যা দলের জন্য বিপদ ডেকে আনবে৷

বন এর বিশ্ব সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে এসপিডি’র কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ ভেন্যুর সামনে সকাল থেকে ব্যানার হাতে বিক্ষোভ জানিয়েছেন দলের অনেক সদস্য৷ এদের মধ্যে বেশিরভাগই তরুণ৷ প্রতিনিধিদের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ জন তরুণ প্রতিনিধি রয়েছেন, যারা বিকেলে ভোট দেবেন৷ 

ভেন্যুর সামনে বিক্ষোভকারীরা
ভেন্যুর সামনে বিক্ষোভকারীরাছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg

এসপিডি'র সিদ্ধান্ত ‘না' হলে ম্যার্কেলের হাতে থাকবে দু'টি বিকল্প৷ এক. সিডিইউ/সিএসইউ নিয়ে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করা, অথবা নতুন নির্বাচনের ডাক দেয়া, যেটা হয়ত ম্যার্কেলের জন্য কোনো সুখবর বয়ে আনবে না

এসপিডির সংকট:

এসপিডিও কিন্তু ঝুঁকির মুখে রয়েছে৷ বামপন্থি এই দলটির আত্মপরিচয় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ এ সপ্তাহে জনপ্রিয়তা জরিপে এসপিডির জনসমর্থন কমেছে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ, সেপ্টেম্বরের চেয়েও যা ২ ভাগ কম৷ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ ফলাফল ছিল এবার এসপিডি'র৷

বিশ্লেষকরা বলছেন, এসপিডি দলের নেতা মার্টিন শুলৎসও তাঁর দলে জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন৷ তাই রবিবারের ভোটে বেশিরভাগ প্রতিনিধিকেই তিনি পাশে পাবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ এ সপ্তাহের একটি টকশো তে এসপিডি দলের পার্লামেন্টারি নেতা আন্দ্রেয়া নাহলেস জানিয়েছিলেন, এক তৃতীয়াংশ প্রতিনিধি তখনো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন৷ বার্লিনের এসপিডি প্রতিনিধিরা এরই মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে এবং তা হলো ‘না'৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, ডিপিএ)