1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুলিশের পাহারায় শাওনের দাফন

২ সেপ্টেম্বর ২০২২

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে মারা যাওয়া শাওন প্রধানকে পুলিশের উপস্থিতিতে দাফন করা হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4GM3a
ছবি: bdnews24.com

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ কথা জানান শাওনের চাচা ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী৷

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ২টার দিকে নবীনগর শাহ্ওয়ার আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে শাওনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়৷ পরে নবীনগর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়৷ জানাজা ও নামাজের সময় পুলিশ উপস্থিত ছিল৷

২০ বছর বয়সি শাওন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েতনগর ও বক্তাবলী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পূর্ব গোপালনগর এলাকার সাহেব আলীর ছেলে৷নবীনগর শাহ্ওয়ার আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে শাওনদের একতলা বাড়ি৷

ময়নাতদন্তের পর শাওনের মরদেহ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে তার বড় ভাই মিলন প্রধান এবং মামা মোতাহার হোসেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়৷ মরদেহ হস্তান্তরের আগে পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল হাসপাতালের মর্গের সামনে অবস্থান নেয়৷

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের পাহারায় অ্যাম্বুলেন্সে এলাকায় আসে শাওনের মরদেহ৷ আগেই জানাজা ও দাফনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা ছিলো৷ লাশ আসার পরপরই ‘তড়িঘড়ি' করে শাওনের দাফন সম্পন্ন করা হয়৷ এ সময় বিপুল সংখ্যক গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিল৷

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা সকাল দশটায় নগরীর ডিআইটিতে আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের করার প্রস্তুতি নেয়৷ এতে পুলিশ বাধা দিলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়৷ বেলা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত দফায় দফায় চলে এই সংঘর্ষ৷ এই সময় গুলিবিদ্ধ হয় শাওন৷ সংঘর্ষের দিন যুবদলের মিছিলের অগ্রভাগে দেখা গেছে শাওনকে৷

বিএনপির নেতা-কর্মীরা শাওনকে যুবদল কর্মী বলে চিহ্নিত করলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে যুবলীগের কর্মী দাবি করে রাতে বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে৷ সারারাত নিহতের বাড়ির সামনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংঠনের নেতা-কর্মীদের অবস্থান ছিলো৷ তবে নিহতের চাচা আওয়ামী লীগ নেতা শওকত আলীর ভাষ্য, শাওন যুবদল বা যুবলীগ কোন দলেরই কর্মী না৷

বৃহস্পতিবার রাতে শওকত আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘বিএনপির মিছিলে সে গেছে একথা সত্য৷ ছবিতে, ভিডিওতে সেটাই দেখা গেছে৷ অস্বীকার করার তো সুযোগ নাই৷ তবে যুবদলে সক্রিয়ভাবে ছিল না শাওন৷ স্থানীয় পোলাপানের সাথে মিটিং-মিছিলে যাইতো৷’’

তবে শাওনের অন্যান্য স্বজন ও স্থানীয় লোকজন বলছেন, চাচা আওয়ামী লীগ নেতা হলেও শাওন বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন৷ যুবদলের আসন্ন কমিটিতে পদ পাওয়ারও কথা ছিল তার৷ কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ নিতো সে৷

শাওন এনপির বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ করেছে এমন বেশ কয়েকটি ছবিও পাওয়া যায়৷ সংঘর্ষের দিনও যুবদলের মিছিলের অগ্রভাগে ছিল শাওন৷ ওই মিছিলে শাওনের বা পাশে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান, জেলা যুবদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন চৌধুরী সালামতকেও দেখা গেছে৷

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় তিনজন ছাত্রলীগ নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্থানীয় মৎস্যজীবী দল নেতা শাহ্ আলী ও সলিমউল্লাহ হৃদয়, যুবদল নেতা আমির বেপারী ও মোহসীন বেপারীর সাথে শাওনের বেশি সখ্যতা ছিলো৷ বৃহস্পতিবারও তাদের সঙ্গেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে গিয়েছিল শাওন৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)  

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য