1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আটক সেনা কর্মকর্তাদের ধর্ষণ?

২৫ জুলাই ২০১৬

তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর আটক হওয়া ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের কেউ কেউ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ আংকারার দুই আইনজীবীর বরাত দিয়ে এই অভিযোগ করছে সংস্থাটি৷

https://p.dw.com/p/1JVJV
Türkei Aufständischer Soldaten werden vor Gericht in Mugla gebracht
ছবি: picture-alliance/abaca/T. Adanali

তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর আটক হওয়া ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের কেউ কেউ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ আংকারার দুই আইনজীবীর বরাত দিয়ে এই অভিযোগ করছে সংস্থাটি৷

আটককৃতদের অনেককে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত খাবার, পানি ও চিকিৎসা সুবিধা দেয়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে মানবাধিকার বিষয় নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি৷

আইনজীবী, চিকিৎসক ও আটক কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা এক কর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে অ্যামনেস্টি৷ আটককৃতদের হয়ে কাজ করছেন এমন দুই আইনজীবী অ্যামনেস্টিকে জানিয়েছেন, পুলিশ সদস্যরা ছোট লাঠি বা আঙুল দিয়ে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের ধর্ষণ করছে, এমন দৃশ্য তাঁরা দেখেছেন বলে আটক হওয়ারা ঐ দুই আইনজীবীকে জানিয়েছেন৷

এদিকে, ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর তুরস্কে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে৷ এর আওতায় শনিবার সরকারের এক ডিক্রিতে আটককৃতদের বিনা অভিযোগে আটকে রাখার সময়সীমা চারদিন থেকে বাড়িয়ে ৩০ দিন করা হয়েছে৷ অ্যামনেস্টি পদক্ষেপেরও সমালোচনা করেছে৷

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

তুরস্কে ইতিমধ্যে প্রায় ১৩ হাজার সেনা সদস্য, পুলিশ, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা ও সাধারণ জনগণকে আটক করা হয়েছে৷ সোমবার ৪২ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে৷ তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে৷ এঁদের মধ্যে আছেন নাজলি ইলিচাক৷ ২০১৩ সালে দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ থাকা মন্ত্রীদের সমালোচনা করায় সরকারপন্থি একটি পত্রিকা থেকে তাঁকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছিল৷

ইইউ-র সদস্য?

তুরস্কে এখন যে অবস্থা চলছে তাতে দেশটির শিগগিরই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লোদ ইয়ুংকার৷ তুরস্ক যদি আবার মৃত্যুদণ্ডের বিধান ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করে তাহলে তখনই তুরস্কের সঙ্গে সব ধরণের আলোচনা বন্ধ হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

সবদল একসঙ্গে

রবিবার ইস্তান্বুলের তাকসিম চত্বরে অভ্যুত্থান চেষ্টার প্রতিবাদে সমাবেশ হয়েছে৷ দেশটির সবচেয়ে বড় বিরোধী গোষ্ঠীর ডাকা এই সমাবেশে সব দলের কর্মীরা অংশ নিয়েছেন৷ সমাবেশ আয়োজনকারী দল সিএইচপির নেতা কেমাল কিলিচদারুগলো অভ্যুত্থান চেষ্টার বিরুদ্ধে পুরো দেশের এক হওয়ার বিষয়টির প্রশংসা করেছেন৷ অভ্যুত্থান করার চেষ্টাকারীদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি তাঁদের নির্যাতন না করতে সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছেন৷

জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য