1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোশাক কারখানার তহবিল উন্নয়নে জার্মান অনুদান

১৬ মে ২০১৭

পোশাক কারাখানার ‘রিমিডিয়েশন' প্রকল্পে চলমান সংস্কারমূলক কাজ যাতে ভালোভাবে হয়, সেজন্য কিছু বাংককে ৭ মিলিয়ন ইউরো অনুদান দেবে জার্মানি৷ শিল্পের পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই অনুদান ৷

https://p.dw.com/p/2d423
Bangladesch Industriepark Ashulia Frauen Arbeiterin
ছবি: JEWEL SAMAD/AFP/Getty Images

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং বাংলাদেশে জার্মান দূতাবাস রবিবার এ বিষয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবানের একটি চুক্তি সই করেছে৷

ইআরডি-র অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আলকামা সিদ্দিকী এবং জার্মান রাষ্ট্রদূত টোমাস প্রিনৎস ‘ফিন্যান্সিং অফ এনভায়রোনমেন্ট অ্যান্ড সেফটি রেট্রোফিটস ইন দ্য বাংলাদেশ রেডিমেড গার্মেন্টস সেক্টর' নামের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এই চুক্তি সই করেন৷

এই প্রকল্পটি গার্মেন্ট কারখানাগুলোকে বিনিয়োগ এবং ত্রুটি দূর করার মাধ্যমে উন্নয়নের মধ্যে যে ধারণাগত দূরত্ব রয়েছে, তা দূর করবে৷ একই সঙ্গে শিল্পের ত্রুটি দূর করতে প্রকল্পের বাস্তবায়নে সহায়তা করবে বলে জার্মান দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে৷

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠনএ-র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘রিমিডিয়েশন (ক্রটি দূর করা) প্রকল্পে যত ফান্ড আসছে, দাতারা সেখানে সুদ নিচ্ছে খুবই কম৷ তা কোনোভবেই শতকরা ০ দশমিক ৫ ভাগের বেশি না৷ কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো অনেক বেশি সুদ নিচ্ছে৷ এই সুদের হার শতকরা ১ ভাগের বেশি হওয়া উচিত নয়৷''

সিদ্দিকুর রহমান

তিনি বলেন, ‘‘অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স ভুক্ত  পোশাক কারাখানাগুলো কাজের পরিবেশ ও নিরপত্তা নিয়ে সংস্কার কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে৷ কিন্তু ছোট ছোট অনেক কারাখানা এখনো পারেনি৷ যদি তাদের ‘সফট লোন' দেয়া হয়, তাহলে তারাও সংস্কার করতে পারবে৷ তা না হলে ওই কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, শ্রমিকরা বেকার হবে৷ তাই আসলেই ব্যাংকগুলোকে এই খাতে ঋণ দিতে দক্ষ এবং বিবেচক হতে হবে৷ তাই তাদের দক্ষতা বাড়াতে জার্মান সরকারের এই প্রকল্প কাজে আসবে আশা করি৷''

এর আগে বাংলাদেশের পোশাক খাতের উন্নয়নে ২০১৪ সালে ৫০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেয়ার চুক্তি করে জার্মানি৷ তৈরি পোশাকের দাম বেশি দিতেও সম্মত হয়৷ ওই চুক্তির ফলে জার্মান সরকার বাংলাদেশের ১০টি পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নে জন্য আর্থিক সহায়তা দেয়৷

বিজিএমইএ-র সভাপতি বলেন, ‘‘জার্মানি বাংলাদেশের পোশাক কারখানার জন্য অনেক কাজ করছে৷ শুধু অনুদান বা সহায়তাই নয় তারা জিআইজেড-এর মাধ্যমেও পোশাক কারাখানার উন্নয়নে ভূমিকা রখাছে৷ এছাড়া একক দেশ হিসেবে এখন বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতেই বেশি তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়৷''

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বড় গন্তব্য এখন জার্মানি৷ চলতি অর্থ বছরে তৈরি পোশাক আমদানিতে একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলেছে দেশটি৷ চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম আট মাসে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য৷ একই সময়ে জার্মানিতে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে প্রায় ১৩ কোটি ডলার বেশি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান