পোশাক কারখানার তহবিল উন্নয়নে জার্মান অনুদান
১৬ মে ২০১৭বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং বাংলাদেশে জার্মান দূতাবাস রবিবার এ বিষয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবানের একটি চুক্তি সই করেছে৷
ইআরডি-র অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আলকামা সিদ্দিকী এবং জার্মান রাষ্ট্রদূত টোমাস প্রিনৎস ‘ফিন্যান্সিং অফ এনভায়রোনমেন্ট অ্যান্ড সেফটি রেট্রোফিটস ইন দ্য বাংলাদেশ রেডিমেড গার্মেন্টস সেক্টর' নামের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এই চুক্তি সই করেন৷
এই প্রকল্পটি গার্মেন্ট কারখানাগুলোকে বিনিয়োগ এবং ত্রুটি দূর করার মাধ্যমে উন্নয়নের মধ্যে যে ধারণাগত দূরত্ব রয়েছে, তা দূর করবে৷ একই সঙ্গে শিল্পের ত্রুটি দূর করতে প্রকল্পের বাস্তবায়নে সহায়তা করবে বলে জার্মান দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে৷
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠনএ-র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘রিমিডিয়েশন (ক্রটি দূর করা) প্রকল্পে যত ফান্ড আসছে, দাতারা সেখানে সুদ নিচ্ছে খুবই কম৷ তা কোনোভবেই শতকরা ০ দশমিক ৫ ভাগের বেশি না৷ কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো অনেক বেশি সুদ নিচ্ছে৷ এই সুদের হার শতকরা ১ ভাগের বেশি হওয়া উচিত নয়৷''
তিনি বলেন, ‘‘অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স ভুক্ত পোশাক কারাখানাগুলো কাজের পরিবেশ ও নিরপত্তা নিয়ে সংস্কার কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে৷ কিন্তু ছোট ছোট অনেক কারাখানা এখনো পারেনি৷ যদি তাদের ‘সফট লোন' দেয়া হয়, তাহলে তারাও সংস্কার করতে পারবে৷ তা না হলে ওই কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, শ্রমিকরা বেকার হবে৷ তাই আসলেই ব্যাংকগুলোকে এই খাতে ঋণ দিতে দক্ষ এবং বিবেচক হতে হবে৷ তাই তাদের দক্ষতা বাড়াতে জার্মান সরকারের এই প্রকল্প কাজে আসবে আশা করি৷''
এর আগে বাংলাদেশের পোশাক খাতের উন্নয়নে ২০১৪ সালে ৫০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেয়ার চুক্তি করে জার্মানি৷ তৈরি পোশাকের দাম বেশি দিতেও সম্মত হয়৷ ওই চুক্তির ফলে জার্মান সরকার বাংলাদেশের ১০টি পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নে জন্য আর্থিক সহায়তা দেয়৷
বিজিএমইএ-র সভাপতি বলেন, ‘‘জার্মানি বাংলাদেশের পোশাক কারখানার জন্য অনেক কাজ করছে৷ শুধু অনুদান বা সহায়তাই নয় তারা জিআইজেড-এর মাধ্যমেও পোশাক কারাখানার উন্নয়নে ভূমিকা রখাছে৷ এছাড়া একক দেশ হিসেবে এখন বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতেই বেশি তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়৷''
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বড় গন্তব্য এখন জার্মানি৷ চলতি অর্থ বছরে তৈরি পোশাক আমদানিতে একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলেছে দেশটি৷ চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম আট মাসে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য৷ একই সময়ে জার্মানিতে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে প্রায় ১৩ কোটি ডলার বেশি৷