1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোশাক শিল্পে আন্তর্জাতিক চাপ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৫ মে ২০১৩

ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং ক্রেতারা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কাজের পরিবেশ উন্নয়নের তাগিদ দিচ্ছে৷ তা নাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহারের কথা বলেছে৷

https://p.dw.com/p/18dZf
People mourn for their relatives, who are trapped inside the rubble of the collapsed Rana Plaza building, in Savar, 30 km (19 miles) outside Dhaka, in this file picture taken April 24, 2013. To match Special Report BANGLADESH-GARMENTS/ REUTERS/Andrew Biraj/Files (BANGLADESH - Tags: DISASTER BUSINESS TEXTILE)
ছবি: Reuters

সাভারের রানা প্লাজায় মোট ৫টি তৈরি পোশাক কারখানা ছিল৷ সেই ভবন ধসের পরই চাপ তীব্র হয়েছে৷ এর আগে তাজরীন ফ্যাশানস-এ আগুনের পর পরিস্থিতি জটিল হতে থাকে৷ দাবি উঠতে থাকে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার কাজের পরিবেশ এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তার৷

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট রীতিমত প্রস্তাব পাশ করে বলেছে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার উন্নতি না হলে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে শুল্ক এবং কোটামুক্ত সুবিধা পাবেনা৷ বাংলাদেশ এই সুবিধা পাওয়ায় সর্বোচ্চ পোশাক রপ্তানি হয় ইউরোপে৷ গত বছর বাংলাদেশ তার মোট পোশাক রপ্তানির ৬০ ভাগ পাঠিয়েছে ইউরোপে৷ তার পরিমাণ প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ এদিকে বাংলাদেশ তৈরি পোশাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা পায়না৷ তবে পাওয়ার জন্য দেন দরবার এবং শুনানি চলছে৷ কিন্তু কাজের পরিবেশ এবং শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সে আশা পূরণ নাও হতে পারে৷

বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার এই পরিস্থিতির জন্য প্রধানত মালিকদের দায়ী করেন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘মালিকদের অতি মুনাফা লোভী মনোভাবের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ তারা শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা দিতে চান না৷ কম মজুরিতে যেনতেন পরিবেশে পোশাক তৈরি করে মুনাফা লোটে৷ শ্রম আইন মানেনা এবং শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ তাদের জন্য ব্যয় করেনা৷'' তবে তিনি মনে করেন এজন্য ক্রেতাদেরও দায় নিতে হবে৷ তারা বাংলাদেশ থেকে কম দামে পোশাক কিনতে চান৷ তাই তারা যতই বলুন পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছেনা৷ কার্যকরভাবে পোশাক কারখানার শ্রমিকের কল্যাণ চাইলে এত কম দামে পোশাক কেনার মানসিকতা ছাড়তে হবে৷

এদিকে তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ'র সহ সভাপতি শহীদুল আজিম ডয়চে ভেলেকে জানান, তারা আন্তর্জাতিক চাপ বিবেচনায় রেখেই পোশাক শিল্পের কাজের পরিবেশ এবং শ্রমিক নিরাপত্তার জন্য কাজ করছেন৷ কিছু কারখানা বন্ধও করে দেয়া হয়েছে ঝঁকিপূর্ণ ভবন এবং অগ্নি নিরাপত্তা না থাকার কারণে৷ আর কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হবে বলে জানান তিনি৷ এজন্য সরকার, বিজিএমইএ একযোগে কাজ করছে৷ তিনি আরও বলেন, নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা হলে পোশাক শ্রমিকদের মজুরিও বাড়বে৷ তাঁর কথা, আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবিলা করে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এগিয়ে যাবে৷

তবে তিনি মনে করেন, ক্রেতাদের পোশাকের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেয়া উচিত৷ প্রতিযোগিতামূলকভাবে কম দামে পোশাক কেনার যে মানসিকতা, তা বাদ দিতে হবে৷ তাদের বুঝতে হবে সঠিক কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের বেতনের ওপরই পোশাকের দাম নির্ধারণ করা উচিত৷ এই দু'টিকে আলাদাভাবে বিবেচনার কোন সুযোগ নাই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য