প্যারিসের জলবায়ু আলোচনা
১৯ জুলাই ২০১৫বিশ্বের প্রায় ১৯৪টি দেশের কর্মকর্তারা সম্মেলনে অংশ নেবেন৷ প্যারিস সম্মেলন সফল হবে বলে মনে করছেন জার্মানির পরিবেশমন্ত্রী বারবারা হেন্ডরিক্স৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন৷
ডিডাব্লিউ: প্যারিস সম্মেলন নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
বারবারা হেন্ডরিক্স: সম্মেলন সফল হবে বলে আমি আশাবাদী৷ এক্ষেত্রে সব দেশই যার যার মতো করে অবদান রাখবে৷ কিয়োটো প্রোটোকল যতটা সফল হওয়ার কথা ছিল ততটা হয়নি৷ কারণ কিছু দেশ তাতে অংশই নেয়নি৷ আর যারা নিয়েছিল তাদের মধ্যেও কেউ কেউ পরে বেরিয়ে গিয়েছিল৷
কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন৷ এবার সবার অংশগ্রহণে একটি চুক্তির কথা ভাবা হচ্ছে৷ সম্প্রতি চীনও এ ব্যাপারে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে৷ সম্মেলনের সাফল্যের মূল কথা হলো চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের সমান অংশগ্রহণ, যেটা এবার হবে বলে মনে হচ্ছে৷
প্যারিসেই যে একটি চুক্তির খোঁজ হচ্ছে তা নয়৷ বছর চারেক আগে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনেও একটি চুক্তি হবে বলে আশা করা হয়েছিল৷ কিন্তু সেটা হয়নি৷ এবার প্যারিসে কি ব্যতিক্রমী কিছু ঘটবে – ঘটলে কেন?
যেটা একটু আগে বললাম, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস নির্গমনকারী দেশ চীন আর যুক্তরাষ্ট্র এবার একই অবস্থানে আছে৷ আগের সম্মেলনগুলোতে যেটা ছিল না৷ তাছাড়া কোপেনহেগেনে আমরা গ্লোবাল সাউথ (উত্থানশীল আর উন্নয়নশীল দেশ) গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোকে একটি কথা বোঝাতে পারিনি যে, জলবায়ু রক্ষার কাজ উন্নয়নের জন্য কোনো বাধা নয়৷ এবার আমরা তাদের সেটা বোঝাতে পারবো বলে আশা করছি৷ আমরা তাদের জ্বালানির চাহিদা মেটাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দাম প্রতিযোগিতামূলক পরামর্শ দেবো৷
অতীতে জার্মানিকে জলবায়ু রক্ষায় পথপ্রদর্শক ভাবা হতো৷ এখন স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোকে সেই অবস্থায় দেখা হচ্ছে৷ অন্তত ই-কার আর নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে৷ আপনার কি মনে হয়, জার্মানি কি তাঁর আগের অবস্থান ধরে রাখতে পারবে?
আমার তো মনে হয় জার্মানিকে এখনও এক্ষেত্রে পাইওনিয়ার হিসেবেই দেখা হয়৷ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে তো অবশ্যই৷ তবে ই-কারের দিক দিয়ে হয়ত আমরা নরওয়ে, নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে একটু পিছিয়ে আছি৷ তবে সেটা ভর্তুকি সংক্রান্ত নীতির কারণে, প্রযুক্তির দিক দিয়ে নয়৷