1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রত্যাবর্তন চুক্তি আবার ভেবে দেখতে বলল জাতিসংঘ

২৪ জানুয়ারি ২০১৮

রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্প্রতি যে চুক্তি হয়েছে, তা পুনরায় ভেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী৷

https://p.dw.com/p/2rQVw
Logo UNHCR

তাদের আশংকা, রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে বাধ্য করা হতে পারে৷ তাছাড়া ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারে যে ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে, সেখানে জাতিসংঘসহ অন্যান্য ত্রাণ সংস্থার প্রবেশাধিকার না থাকায় ফিরে যাওয়াদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন এসব সংস্থা৷

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেন, ‘‘প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি সফল ও টেকসই করতে কয়েকটি বিষয়ের দিকে ভালভাবে নজর দিতে হবে৷ কিন্তু আমরা এখনও সেসব বিষয়ে কিছু শুনিনি৷''

Myanmar Aufbau Lager für Rückkehr Rohingya Flüchtlinge
ছবি: picture-alliance/AP/T. Zaw

রোহিঙ্গারা যেন ফিরে গিয়ে নিরাপদ থাকতে পারে, সেজন্য জাতিসংঘসহ অন্যান্য ত্রাণ সংস্থাকে রাখাইন রাজ্যে বাধাহীনভাবে কাজ করার অনুমতি দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর৷

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন শুরু হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু বাংলাদেশ জানিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়া এখনও শেষ না হওয়ায় এখনই প্রত্যাবর্তন শুরু করা যাচ্ছে না৷

মঙ্গলবার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে তাঁরা প্রস্তুত৷ কিন্তু সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনকারীরা এখনও ফরম পূরণ করতে না পারায় বাংলাদেশ সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি বলে জানান তাঁরা৷ মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী কিয়াও তাও বলেন, ফরম পূরণ শেষে ইউএনএইচসিআর সেগুলো পরীক্ষা করে দেখবে যে, তালিকায় থাকা রোহিঙ্গারা আসলেই ফিরতে চান কিনা৷ তবে বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর-এর একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনায় তাঁর সংস্থা যুক্ত ছিল না৷

ফিরে যাবেন রোহিঙ্গারা!

এদিকে, ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারে যে ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে সেখানে বুধবার এপি'সহ কয়েকটি গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷

প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া এখনও শুরু না হওয়ায় ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নাওয়ার্ট৷ মিয়ানমারের ক্যাম্পে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর প্রবেশের অনুমতি না থাকায় ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন বলেও জানান তিনি৷

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম মাটিস বলেছেন, গণমাধ্যমে যতটা দেখানো হয়েছে তার চেয়েও বেশি খারাপ পরিস্থিতিতে আছে রোহিঙ্গারা৷ ‘‘সিএনএন বা বিবিসি যতটা দেখাতে পেরেছে, তার চেয়েও খারাপ ট্র্যাজেডি এটা,'' বলেন ইন্দোনেশিয়া সফররত মাটিস৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)

 

আপনিও কি আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে একমত? লিখুন নিচের মন্তব্যের ঘরে৷ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য