প্রত্যাবর্তন চুক্তি আবার ভেবে দেখতে বলল জাতিসংঘ
২৪ জানুয়ারি ২০১৮তাদের আশংকা, রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে বাধ্য করা হতে পারে৷ তাছাড়া ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারে যে ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে, সেখানে জাতিসংঘসহ অন্যান্য ত্রাণ সংস্থার প্রবেশাধিকার না থাকায় ফিরে যাওয়াদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন এসব সংস্থা৷
রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেন, ‘‘প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি সফল ও টেকসই করতে কয়েকটি বিষয়ের দিকে ভালভাবে নজর দিতে হবে৷ কিন্তু আমরা এখনও সেসব বিষয়ে কিছু শুনিনি৷''
রোহিঙ্গারা যেন ফিরে গিয়ে নিরাপদ থাকতে পারে, সেজন্য জাতিসংঘসহ অন্যান্য ত্রাণ সংস্থাকে রাখাইন রাজ্যে বাধাহীনভাবে কাজ করার অনুমতি দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর৷
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন শুরু হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু বাংলাদেশ জানিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়া এখনও শেষ না হওয়ায় এখনই প্রত্যাবর্তন শুরু করা যাচ্ছে না৷
মঙ্গলবার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে তাঁরা প্রস্তুত৷ কিন্তু সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনকারীরা এখনও ফরম পূরণ করতে না পারায় বাংলাদেশ সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি বলে জানান তাঁরা৷ মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী কিয়াও তাও বলেন, ফরম পূরণ শেষে ইউএনএইচসিআর সেগুলো পরীক্ষা করে দেখবে যে, তালিকায় থাকা রোহিঙ্গারা আসলেই ফিরতে চান কিনা৷ তবে বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর-এর একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনায় তাঁর সংস্থা যুক্ত ছিল না৷
এদিকে, ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারে যে ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে সেখানে বুধবার এপি'সহ কয়েকটি গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷
প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া এখনও শুরু না হওয়ায় ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নাওয়ার্ট৷ মিয়ানমারের ক্যাম্পে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর প্রবেশের অনুমতি না থাকায় ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন বলেও জানান তিনি৷
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম মাটিস বলেছেন, গণমাধ্যমে যতটা দেখানো হয়েছে তার চেয়েও বেশি খারাপ পরিস্থিতিতে আছে রোহিঙ্গারা৷ ‘‘সিএনএন বা বিবিসি যতটা দেখাতে পেরেছে, তার চেয়েও খারাপ ট্র্যাজেডি এটা,'' বলেন ইন্দোনেশিয়া সফররত মাটিস৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)
আপনিও কি আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে একমত? লিখুন নিচের মন্তব্যের ঘরে৷