1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শতবার্ষিকী

স্টিফেন বিয়ার্ড/এসি১৪ এপ্রিল ২০১৪

১৯১৪-২০১৪৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনার শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ব্রিটেন থেকে স্কুলের ছেলে-মেয়েদের ফ্ল্যান্ডার্সের যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ যুদ্ধ শেষ হওয়ার ‘আর্মিস্টিস ডে’ ফ্রান্সে সরকারি ছুটির দিন৷ কিন্তু জার্মানিতে?

https://p.dw.com/p/1BgrW
ছবি: DW

ব্রিটেনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা, তার অনেকটাই লন্ডন ইম্পিরিয়াল ওয়ার মিউজিয়ামের কল্যাণে৷ নামটাই বলে দিচ্ছে: ইম্পিরিয়াল, অর্থাৎ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ইতিহাস এসে পড়ছে৷ তাও আবার যুদ্ধের সংগ্রহশালা, জার্মানিতে যা অকল্পনীয়৷ জার্মানির মানুষ আজও নাৎসি অপশাসন ও ইহুদি নিধনের বিভীষিকা নিয়ে ব্যস্ত৷

এছাড়া বিংশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ড অথবা ফ্রান্সে গণতান্ত্রিক কাঠামোর কোনো পরিবর্তন হয়নি৷ কিন্তু জার্মানি ১৯১৪ সাল যাবৎ পাঁচ-পাঁচটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরখ করে দেখেছে: কাইজারের রাজ্য, ভাইমার প্রজাতন্ত্র, নাৎসি শাসন, সবশেষে পশ্চিম ও পূর্ব, দুই জার্মানির দু'ধরনের শাসনতন্ত্র৷ জার্মান পুনর্মিলনের পর সবেমাত্র ২৫ বছর পার হয়েছে৷ বলতে কি, তুলনামূলকভাবে জার্মানি একটি তরুণ গণতন্ত্র৷

Russland im Ersten Weltkrieg (Frauen-Regiment)
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রুশ নারী যোদ্ধাদের একটি ক্যাম্প

আরো মনে রাখা দরকার, বেলজিয়াম অথবা ফ্রান্সের মানুষ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে স্বদেশে, নিজেদের রণাঙ্গণে ঘটতে দেখেছে – জার্মানির ক্ষেত্রে যে-কথা প্রযোজ্য নয়৷ দূরের অদৃশ্য ফ্রন্ট থেকে প্রিয়জনের পতন কিংবা আহত হওয়ার খবর এসেছে ঠিকই, কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির শহরগুলির উপর মিত্রশক্তিদের বোমাবর্ষণ, লক্ষ লক্ষ মানুষের উদ্বাস্তু হওয়ার বিভীষণ অভিজ্ঞতা পরিখা-যুদ্ধের স্মৃতিকে অবলীলাক্রমে পিছনে ফেলে দিয়েছে৷

৬০-এর দশক যাবৎ ব্রিটেন তথা জার্মানিতে যে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলেছে, সেটি হলো: প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু করার মূল দায়িত্বটা ছিল কার বা কোন দেশের৷ আজ আর বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পায় না৷ অন্যদিকে যুদ্ধবিরোধী, আধুনিক অর্থে শান্তি আন্দোলনের পতাকাবাহী প্রথম উপন্যাসগুলি বেরিয়ে এসেছে ঐ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকেই: যেমন এরিখ মারিয়া রেমার্ক-এর ‘ইম ভেস্টেন নিশ্টস নয়েস', ইংরিজিতে যার নাম ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট'

Roter Oktober - Russland Okotberrevolution
১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বরের ছবি এটিছবি: picture-alliance/akg

এটা কিন্তু চোখ পড়ার মতো যে, ‘গ্রেট ওয়ার'-এর শতবার্ষিকীতে জার্মানির শাসক ও আমলারা কোনো বড় অনুষ্ঠানের কথা ভাবছেন না, কেননা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কোনো জাতীয় কিংবদন্তির অঙ্গ নয়, কোনো আনন্দ অথবা গর্বের উপলক্ষ্যও নয়৷ নস্ট্যালজিয়ার দেশ ব্রিটেনেও তর্ক চলেছে, ঠিক কোন রঙিন চশমা কানে লাগিয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধেকে দেখা উচিত – জাতীয়তাবাদী ‘স্পিন' অতিশীঘ্র ইউরোপ-বিরোধী স্পিনে পরিণত হতে পারে কিনা – বিশেষ করে ইউরোপীয় সংসদের নির্বাচনের প্রাক্কালে!

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য