সংবর্ধনা ও যানজট
১ অক্টোবর ২০১৩বিমানবন্দরে সবার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী৷ বলেন, এ পুরস্কার সবার প্রাপ্য, বিশেষ করে যাঁরা আমাদের ভোট দিয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সুযোগ দিয়েছে৷ যে সম্মান ও মর্যাদা আমরা দেশের জন্য এনেছি, তা যেন অব্যাহত থাকে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি ভাগ্যবান৷ কারণ, জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) যখন ২০০০ সালে শুরু করা হয়, তখন আমি প্রধানমন্ত্রী ছিলাম৷ এখনও আমি প্রধানমন্ত্রী৷ এমডিজি-র আটটি লক্ষ্য ২০১৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের আগেই আমরা এর কয়েকটি লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেছি৷''
সংবর্ধনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে ২০২০ সালে মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ৷ প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমরা সরকারে আসার পর পুরস্কার নিয়ে আসি৷ আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সাউথ-সাউথ এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও পুরস্কার নিয়ে এসেছি৷ দারিদ্র্যের হার শতকরা ৫৬ থেকে ২৬ ভাগের নীচে নিয়ে এসেছি৷'' সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘আমরা যা অর্জন করেছি, তা যেন ধরে রাখতে পারি৷ এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই আমি৷''
এর আগে এমিরেটস এয়ারওয়েজের একটি বিমানে (ইকে ৫৮৬) হয়রত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ বিকেল সাড়ে ৫টায় তাঁকে বহনকারী বিমানটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে৷ ভিভিআইপি টার্মিনালে নামার পর প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা৷ সরকারের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা ছাড়াও মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনাসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন সেখানে৷
এদিকে, নিউ ইয়র্ক থেকে ফেরা প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানাতে দুপুরের পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাক-বাসে করে বিমানবন্দর এলাকায় জড়ো হন৷ সারি বেঁধে কয়েক হাজার মোটর সাইকেলও যেতে দেখা যায়৷ ফলে সোমবার বিকাল থেকে যানজটের মধ্যে পড়তে হয় রাজধানীবাসীকে৷ বিমানবন্দরমুখী সড়কগুলোতে লাগা যানজট সন্ধ্যা নাগাদ বিশাল এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে৷ স্বাভাবিকভাবেই চরম ভোগন্তিতে পড়েন রাস্তায় বের হওয়া সাধারণ মানুষ৷ গাড়িতে আটকে থাকা অনেকে প্রকাশ করেন ক্ষোভও৷
প্রসঙ্গত, গত ২৩শে সেপ্টেম্বর ‘ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন’এর প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিস লরেঞ্জা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন৷ এর আগে ২২শে সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে নিউ ইয়র্কে যান প্রধানমন্ত্রী৷ ২৮শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনের উন্নয়ন বিতর্কে অংশ নিয়ে বাংলা ভাষায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ প্রায় ২০ মিনিটব্যাপী দেয়া ঐ ভাষণে নিজের দেশের অর্থনীতি-রাজনীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের ও নিজের দেশের পক্ষে অভিমত তুলে ধরেন তিনি৷ অধিবেশনের বাইরে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন৷