বাংলার চর্চা
১২ মে ২০১২উৎসবের ফাঁকে ডয়চে ভেলের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় যোগ দেন তিনি৷ প্রবাসী বাংলাদেশিদের বর্ষবরণ উৎসবে এসে কেমন লাগছে – এমন প্রশ্নের উত্তরে ফাহমিদা নবী বলেন, ‘‘খুবই ভালো৷ সবচেয়ে ভালো লাগছে আসলে দেশ সংস্কৃতি গোষ্ঠীর চিন্তা-চেতনা৷ বিদেশে যেসব শিশুরা বড় হচ্ছে তাদের বাংলা ভাষা শেখানো এবং চর্চার জন্য এখানে একটি বিদ্যালয় গড়ে তোলার উদ্যোগটি প্রশংসনীয়৷ এটা আসলে খুব আবেগপূর্ণ একটি বিষয়৷ খুব ভালো লেগেছে যে, আমরা বাংলাদেশে বসে বুঝতে পারি না, প্রবাসে যারা থাকে তারা বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংগীতকে কীভাবে লালন করে৷ তারা আসলে বাংলা ভাষাকে অনেক বেশি ধারণ করে৷ বাংলা গান শোনে, বাংলা খাবার খায়, বাংলা পোশাক পরে৷ এভাবে বাংলার ঐতিহ্য মনে-প্রাণে লালন করে৷''
সাম্প্রতিক সময়ে নিজের কাজ এবং অদূর ভবিষ্যতে যা কিছু উপহার দিতে যাচ্ছেন, সেসম্পর্কে ফাহমিদা নবী বলেন, ‘‘এখন আমি একটি অ্যালবামের কাজ করছি৷ এটির নাম ‘আমি পাল্টে যাইনি'৷ আসলে তরুণ প্রজন্ম আমার গান একটু বেশি পছন্দ করে৷ আর এটা আমার চিন্তার জায়গাকে অনেক বেশি প্রসারিত করে এবং দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে দেয়৷ তাই তরুণ প্রজন্মকে ধরে রাখার জন্য এবং তাদের উপকার হয় এমন কিছু গান করছি৷ পাশাপাশি আমি সমাজে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কিছু কাজ করছি৷ যেমন এইচআইভি/এইডস, মাদক, নারী নির্যাতন, শিশুশ্রম – এসব বিষয়ে সচেতনতামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছি৷''
এখন পর্যন্ত বাংলা সংগীত জগত কতটা সামনের দিকে এগিয়েছে এবং আরো উন্নতির জন্য কী করা উচিত - এ ব্যাপারে ফাহমিদা নবী বলেন, ‘‘আমি আসলে একটা স্বপ্ন নিয়ে কাজ করি যে, কীভাবে অতীতের সৌন্দর্যকে ধরে রাখবো৷ আমরা এই যে, প্রায় ৪০ বছরের স্বাধীন দেশে যেসব শ্রেষ্ঠ সময় পেয়েছি সেগুলোকে নিয়েই কাজ করতে চাই, খারাপ কিছু নিয়ে চিন্তা করতে চাই না৷ বরং ভালো দিকগুলোকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই৷ যেমন একটি সুন্দর ফুলের সামনে আগাছা থাকে৷ কিন্তু সেসব আগাছা সরিয়েই সুন্দর ফুলটিকে পেতে হয়৷ তাই আমি মনে করি আমাদের ঐতিহ্য রবীন্দ্র, নজরুলসহ পঞ্চকবির গানগুলোসহ ভালো ভালো কাজগুলো আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে আরো বেশি করে তুলে ধরতে পারলে আমাদের বাংলা সংস্কৃতি অনন্য হয়ে উঠবে৷''
সাক্ষাৎকার: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন