1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জেরুসালেম নিয়ে ভোটের সিদ্ধান্ত

১৭ ডিসেম্বর ২০১৭

জেরুসালেমের 'স্ট্যাটাস' বা অবস্থানের কোনো ধরনের পরিবর্তন করা যাবে না - এই মর্মে একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোটাভুটির পরিকল্পনা করছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো৷ সোমবার এই প্রস্তাবে ভোটাভুটি হওয়ার কথা৷

https://p.dw.com/p/2pVNw
জেরুসালেম
ছবি: Getty Images/L. Mizrahi

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনি অঙ্গীকার পূরণ করতে চলতি মাসে জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন৷ এমনকি তেল আভিভ থেকে জেরুসালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সরিয়ে নেয়ারও সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়৷

‘জেরুসালেমের স্ট্যাটাস সংক্রান্ত' ঐ খসড়ায় সোমবার ভোটাভুটি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ৷ খসড়ায় লেখা আছে,জেরুসালেম বর্তমানে যে অবস্থানে আছে বৈধভাবে এতে কোনো ধরনের পরিবর্তন আনা যাবে না এবং তেমনটা কেউ করলে তা অকার্যকর বলে গণ্য হবে৷ এতে বলা হয়েছে, ‘পবিত্র শহর জেরুসালেমের স্ট্যাটাস, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থান কোনোভাবেই পরিবর্তন যোগ্য নয়৷' খসড়া এই প্রস্তাবে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করা নেই বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি এবং রয়টার্স৷



এক পাতার এই খসড়াটি নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যদের হাতে শনিবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে৷ সোমবারই কোনো এক সময় এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ খসড়া প্রস্তাবটি পাস হতে নিরাপত্তা পরিষদের অন্তত ৯ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন৷ এছাড়া স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া এবং চীন - এদের মধ্যে কেউ ভেটো দিলে এটি পাস হবে না৷

জাতিসংঘ পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা মনে করছেন এই খসড়া প্রস্তাবের পক্ষেই সবাই ভোট দেবেন৷ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে ভেটো দেয়ার সম্ভাবনা আছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ কারণ জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেছেন, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক৷ যদি প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে নাকচ হয়ে যায়, এরপর সাধারণ পরিষদে এর উপর ভোটাভুটি হবে৷

যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের পর থেকে বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিন এবং তাদের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন৷ রবিবার জাকার্তায় ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

এ বিষয়ে আপনার কোনো মতামত থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷