1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফের আলোচনায় পোল্যান্ডের গর্ভপাত আইন

৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা এক মানসিক ভারসাম্যহীন এক কিশোরীর গর্ভপাত ঘটাতে রাজি হয়নি দুটি হাসপাতাল। এ ঘটনা পর ফের আলোচনায় এসেছে পোল্যান্ডের গর্ভপাত আইন।

https://p.dw.com/p/4NB4U
ছবি: Beata Zawrzel/NurPhoto/picture alliance

পোল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পোডালস্কি এলাকায় সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটে। নিজের চাচার ধর্ষণের শিকার ১৪ বছর বয়সি মেয়েটি মানসিক স্থিতি না থাকায় কাউকে কিছু বলতে পারেনি। গর্ভবতী হয়ে পড়ার পর বিষয়টি তার চাচি জানতে পারেন। মেয়েটিকে নিয়ে হাসপাতালে যান গর্ভপাত করাতে। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। আইনের কথা বলে গর্ভপাত করাতে রাজি হয়নি দুটি হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক। এই ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে দেশটির গণমাধ্যম ও রাজনীতিবিদরা।

২০২০ সালে পোল্যান্ডে সাংবিধানিক আদালত গর্ভপাত নিষিদ্ধ করে রায় দেয়। গতবছর তা আইনে পরিণত হয়। এর ফলে সেখানে এখন সব ধরনের গর্ভপাত নিষিদ্ধ। তবে ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হলে বা গর্ভবতীর জীবন শঙ্কায় পড়লে গর্ভপাত করার অনুমতি দেওয়া হয় আইনে। আইন লঙ্ঘন করে গর্ভপাত করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। আইনটি পাসের পর এর সমালোচনা হয় এবং প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন হাজারো মানুষ।

আইনটির কারণে জটিলতা তৈরি হয়েছে। পোডালস্কির ওই কিশোরীর গর্ভপাতের বিষয়ে আইনজীবী লিখিত অনুমতি দিয়েছেন। এরপরও চিকিৎসকরা আপত্তি জানিয়েছেন, কারণ, আইনের এক বিধানে বলা আছে, নিজের ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থি মনে করলে বা বিবেকের দায়বদ্ধতার কারণ দেখিয়ে যে কোনো চিকিৎসক গর্ভপাতে অসম্মতি জানাতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে যিনি অসম্মতি জানাবেন, তিনি এমন অন্য কোনো চিকিৎসকের নাম বলে দেবেন, যিনি গর্ভপাত করাতে পারবেন।  

স্থানীয় সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন 'পলিটিকা'র প্রতিবেদনে বলা হয়, কিশোরী ও তার চাচিকে ওই দুই হাসপাতাল কোনো ধরনের সহায়তাই করেনি। ‘এটা আমাদের সমস্যা নয়’ বলে তাদের চলে যেতে বাধ্য করে তারা। আইন অনুযায়ী কোনো চিকিৎসক ব্যক্তিগতভাবে গর্ভপাতে অসম্মতি জানাতে পারলেও পুরো হাসপাতালের এরকম আচরণ আইনানুগ নয়।

পোল্যানে্‌ড এফইডিইআরএ ফাউন্ডেশন ফর উইম্যান অ্যান্ড ফ্যামিলি প্ল্যানিং অবশেষে ওই কিশোরীর সহায়তায় এগিয়ে আসে। তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীটিকে রাজধানী ওয়ারশতে এনে গর্ভপাত করানো হয়।

সংগঠনটি জানায়, ২০২০ সালে পোল্যান্ডে ১০৭৬টি গর্ভপাতের ঘটনা ঘটলেও আইন পাসের পরের বছর তা ১০৭-এ নেমে আসে। তবে এফইডিইআরএ জানায়, এখনো অগোচরে বছরে দেড় লাখের মতো গর্ভপাত হচ্ছে দেশটিতে। গত নভেম্বরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গতবছর ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও গর্ভপাত করাতে না পেরে ছয় নারী মারা যায়।

পোডলস্কির ওই কিশোরীর সঙ্গে হাসপাতালগুলোর আচরণকে ‘অগ্রহণযোগ্য' বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী এডাম নেইডজিলস্কি। এ বিষয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিকে বিরোধী রাজনীতিবিদরা বলছেন, ‘বিবেকের দায়বদ্ধতার' বিধানটির বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে প্রস্তাব আনবেন তারা।

জাসেক লেপিয়ার্স/ এসএফ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য