ফেলানীর জন্য দুঃখ, সীমান্তে ক্ষোভ
৮ জানুয়ারি ২০১৬ক্ষোভটা এখনো সুবিচার না পাওয়ার, হতাশাটা আজও সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হতে দেখার৷ প্রায় নিয়মিত বিরতিতেই সীমান্তে মৃত্যুবরণ করছে বাংলাদেশের মানুষ৷ ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হলেও কোনো সুফল আসেনি৷
২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হয় ফেলানী নামের এক কিশোরী৷ তার মৃতদেহ দীর্ঘক্ষণ ঝুলেছে কাঁটাতারে৷ কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ফেলানীর লাশের ছবি প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঝড় ওঠে৷ বাংলাদেশ সরকারের দাবির মুখে ভারতে এ হত্যার বিচার শুরু হলেও বিচার প্রক্রিয়া হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ৷ হত্যাকাণ্ডের দুই বছর আট মাস পর কোচবিহারে বিশেষ আদালতে বিচার শুরু হয়৷ কিন্তু অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য সেখানে ‘নির্দোষ' প্রমাণিত হয়৷ বাংলাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও প্রতিবাদ জানানো হয়৷ ভারতের মানবাধিকার সংগঠন ‘মাসুম' এগিয়ে আসে ফেলানীর পরিবারের সহায়তায়৷ সংস্থাটির সহায়তা নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করেন ফেলানীর বাবা৷ সুপ্রিম কোর্টে এখনো ঝুলে আছে ফেলানী হত্যা মামলা৷ বৃহস্পতিবার ফেলানী হত্যার পঞ্চম বার্ষিকীতে তাই ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই৷
একজন শেয়ার করেছেন ফেলানীকে নিয়ে লেখা কবীর সুমনের গান৷
সর্বস্তরের প্রতিবাদ সত্ত্বেও সীমান্তে হত্যা বন্ধ করেনি বিএসএফ৷ মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৫ সালে মোট ৪৫ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে ভারতীয় সিমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলি বা নির্যাতনে৷
তাই দুঃখ, হতাশা ও ক্ষোভ নিয়ে শুধু ফেলানীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছেন সবাই৷ সঙ্গে কামনা করছেন – শিগগিরই যেন ফেলানী হত্যার সুষ্ঠু বিচার হয়, সীমান্তে যেন হত্যা বন্ধ করে বিএসএফ৷
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ