1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুকের উপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি

২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ইউরোপীয় কমিশনের ভোক্তা অধিকার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতিমালা গ্রহণ না করলে ফেসবুক, টুইটারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে৷ নিজেদের ‘শোধরাতে' এ বছরের শেষ অবধি সময় পাবে সামাজিক নেটওয়ার্ক দু'টি৷

https://p.dw.com/p/35FG5
ছবি: picture-alliance/AP Photo/G. V. Wijngaert

ফেসবুক এবং টুইটারকে ‘বিভ্রান্তিকর’ ভোক্তা নীতিমালা থেকে সরে আসতে চলতি বছরের শেষ অবধি সময় বেঁধে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)৷ এই সময়ের মধ্যে নীতিমালা ঠিক না করলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে সংস্থা দু'টি৷

ইইউ বিচার কমিশনার ভেরা ইঔরোভা বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমার ধৈর্য সীমায় পৌঁছে গেছে৷ যদিও ফেসবুক আমাকে আশ্বস্ত করেছিল যে, নীতিমালায় বিভ্রান্তিকর যা কিছু রয়ে গেছে, তা ডিসেম্বরের মধ্যে শোধরানো হবে, কিন্তু তারা বেশ মন্থর গতিতে এগোচ্ছে৷’’

প্রতিষ্ঠান দু'টির সঙ্গে অনন্তকাল ধরে সমঝোতা আলোচনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছে কমিশন৷ ইঔরোভা বলেন, ‘‘এখন ব্যবস্থা গ্রহণের সময়, আর কোনো প্রতিশ্রুতি শোনার সময় নয়৷ আমরা চাই ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের স্বচ্ছভাবে জানাক যে, প্রতিষ্ঠানটি কিভাবে কাজ করে এবং কিভাবে অর্থ উপার্জন করে৷’’

অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ফেসবুকের নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হবে এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তা প্রয়োগ করা হবে বলেও আশা করছেন ইইউ'র এই কর্মকর্তা৷

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ইইউ'র পরামর্শ মোতাবেক নীতিমালা পরিবর্তন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ নীতিমালার কোথায় কোথায় পরিবর্তন আনতে হবে তা আরো সাতমাস আগে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানিয়েছিল ইউরোপীয় দেশগুলোর এই সংগঠনটি৷

এদিকে, ফেসবুক এবং টু্ইটার নীতিমালা শোধরাতে গড়িমসি করলেও ঘর শেয়ারের অ্যাপ এয়ারবিএনবি এক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইইউ৷ প্রতিষ্ঠানটি আগে এটির ব্যবহারকারীকে একটি ঘরের প্রকৃত ভাড়া দেখাতো না৷ কিন্তু যখন একজন ঘর ভাড়া নিয়ে নিতেন, তখন দেখা যেতো আগে দেখানো ভাড়ার সঙ্গে সার্ভিস এবং ক্লিনিংয়ের জন্য বাড়তি টাকা যোগ করা হয়েছে৷ ইইউ এভাবে ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করার নীতি বদলাতে বললে তা মেনে নেয় এয়ারবিএনবি৷ এছাড়া কোন ঘরটি একজন ব্যক্তি ভাড়া দিচ্ছেন, আর কোনটি একটি প্রতিষ্ঠান - তা-ও আগেই জানিয়ে দিচ্ছে অ্যাপটি৷ ফলে কোথায় কোন ধরনের সেবা পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে আরো স্বচ্ছ ধারণা পাচ্ছেন অ্যাপটির ব্যবহারকারীরা৷

উল্লেখ্য, ইইউতে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৮০ মিলিয়ন৷ এই ব্যবহারকারীদের নানাভাবে প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে তথ্য দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ সাইটটি৷ তবে ইইউ'র কাছে তথ্য জানানোর এই প্রক্রিয়া পর্যাপ্ত মনে হচ্ছে না৷

এআই/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য