ফেসবুকের উপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ফেসবুক এবং টুইটারকে ‘বিভ্রান্তিকর’ ভোক্তা নীতিমালা থেকে সরে আসতে চলতি বছরের শেষ অবধি সময় বেঁধে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)৷ এই সময়ের মধ্যে নীতিমালা ঠিক না করলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে সংস্থা দু'টি৷
ইইউ বিচার কমিশনার ভেরা ইঔরোভা বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমার ধৈর্য সীমায় পৌঁছে গেছে৷ যদিও ফেসবুক আমাকে আশ্বস্ত করেছিল যে, নীতিমালায় বিভ্রান্তিকর যা কিছু রয়ে গেছে, তা ডিসেম্বরের মধ্যে শোধরানো হবে, কিন্তু তারা বেশ মন্থর গতিতে এগোচ্ছে৷’’
প্রতিষ্ঠান দু'টির সঙ্গে অনন্তকাল ধরে সমঝোতা আলোচনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছে কমিশন৷ ইঔরোভা বলেন, ‘‘এখন ব্যবস্থা গ্রহণের সময়, আর কোনো প্রতিশ্রুতি শোনার সময় নয়৷ আমরা চাই ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের স্বচ্ছভাবে জানাক যে, প্রতিষ্ঠানটি কিভাবে কাজ করে এবং কিভাবে অর্থ উপার্জন করে৷’’
অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ফেসবুকের নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হবে এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তা প্রয়োগ করা হবে বলেও আশা করছেন ইইউ'র এই কর্মকর্তা৷
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ইইউ'র পরামর্শ মোতাবেক নীতিমালা পরিবর্তন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ নীতিমালার কোথায় কোথায় পরিবর্তন আনতে হবে তা আরো সাতমাস আগে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানিয়েছিল ইউরোপীয় দেশগুলোর এই সংগঠনটি৷
এদিকে, ফেসবুক এবং টু্ইটার নীতিমালা শোধরাতে গড়িমসি করলেও ঘর শেয়ারের অ্যাপ এয়ারবিএনবি এক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইইউ৷ প্রতিষ্ঠানটি আগে এটির ব্যবহারকারীকে একটি ঘরের প্রকৃত ভাড়া দেখাতো না৷ কিন্তু যখন একজন ঘর ভাড়া নিয়ে নিতেন, তখন দেখা যেতো আগে দেখানো ভাড়ার সঙ্গে সার্ভিস এবং ক্লিনিংয়ের জন্য বাড়তি টাকা যোগ করা হয়েছে৷ ইইউ এভাবে ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করার নীতি বদলাতে বললে তা মেনে নেয় এয়ারবিএনবি৷ এছাড়া কোন ঘরটি একজন ব্যক্তি ভাড়া দিচ্ছেন, আর কোনটি একটি প্রতিষ্ঠান - তা-ও আগেই জানিয়ে দিচ্ছে অ্যাপটি৷ ফলে কোথায় কোন ধরনের সেবা পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে আরো স্বচ্ছ ধারণা পাচ্ছেন অ্যাপটির ব্যবহারকারীরা৷
উল্লেখ্য, ইইউতে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৮০ মিলিয়ন৷ এই ব্যবহারকারীদের নানাভাবে প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে তথ্য দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ সাইটটি৷ তবে ইইউ'র কাছে তথ্য জানানোর এই প্রক্রিয়া পর্যাপ্ত মনে হচ্ছে না৷
এআই/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)