‘দেশ স্কুল’
৩০ জুন ২০১২জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে দেশ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর উদ্যোগে গঠিত বাংলা ভাষা শিক্ষার প্রতিষ্ঠান দেশ স্কুলের পথচলা সম্পর্কে এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার মিঠু কবীর বলেন, ‘‘আমরা মূলত প্রথমে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে দেশ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী গড়ে তুলি৷ এরপর ২০১০ সালের ১৪ই নভেম্বর এখানে বাংলা ভাষা শিক্ষার প্রতিষ্ঠান দেশ স্কুল চালু করি৷ এখানে প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে৷ শিক্ষক রয়েছে দুই জন এবং শিক্ষা দানে সহায়তা করেন আরো দুই জন অভিভাবক৷ এখানে শিক্ষার্থীরা মূলত বাংলা বর্ণমালা থেকে শুরু করে বাংলা ভাষা লিখতে ও পড়তে পারার দক্ষতা অর্জন করে৷ এছাড়া তারা এখানে বাংলা গান, কবিতা, নাচ, অভিনয় - এসবকিছুও শেখে৷ আমরা বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস ও উপলক্ষ্যকে ঘিরে যেসব সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করি সেগুলোতেও এখানকার শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে৷''
দেশ স্কুলের শিক্ষার ধারা ও পর্যায় সম্পর্কে তিনি জানান, ‘‘সপ্তাহে একদিন রবিবার তিনটি পৃথক ব্যাচে শিক্ষার্থীরা এখানে ভাষা শেখে৷ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে ভাষা কার্যক্রম চলে৷ এদের মধ্যে একটি ব্যাচে রয়েছে এমন জার্মান নাগরিক, যারা হয়তো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় বা দপ্তরে কাজ করেন এবং যারা বাংলাদেশে তাদের পেশাগত কাজের জন্য যাতায়াত করেন৷ এছাড়া আরেকটি ব্যাচে রয়েছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে এমন তরুণ-তরুণীরা৷ দেখা গেছে, তাদের পিতা-মাতা উভয়ই কিংবা কোনো একজন হয়তো বাংলাদেশি৷ কিন্তু জার্মানিতে বড় হওয়ার কারণে বাংলা ভাষায় তাদের যথেষ্ট দক্ষতা নেই৷ তাই তারা এখানে বাংলা ভাষা শিখছে৷ আর একটি ব্যাচ রয়েছে একেবারে ছোট্ট শিশুদের জন্য৷''
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে নিয়মিত বিভিন্ন দিবস পালন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং উৎসবের আয়োজন করে আসছে দেশ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী৷ এছাড়া তারা ‘দেশ পত্রিকা' নামে একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশ করে আসছে৷ বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার এবং চর্চা করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মিঠু কবীর৷
সাক্ষাৎকার: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ