1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্যফ্রান্স

ফ্রান্সে কম বয়সি পুরুষদের বিনা পয়সায় কন্ডোম

২ জানুয়ারি ২০২৩

সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফ্রান্সে ২৫ বছর বা তার থেকে কম বয়সিদের বিনা পয়সায় কন্ডোম দেয়া হবে।

https://p.dw.com/p/4LcoA
ছবি: Jochen Tack/picture alliance

এইচআইভি এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ রোধ করা এবং অনাকাঙ্খিত মাতৃত্ব বন্ধ করতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। সরকার প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সি ছেলেদের বিনা পয়সায় কন্ডোম দেয়া হবে।

কিন্তু পরে বিতর্ক দেখা দেয় এবং প্রশ্ন ওঠে, ১৮-র কম বয়সিদের কেন কন্ডোম দেয়া হবে না? তারপর নিচের সীমা বেঁধে দেয়া হয়নি। রোববার থেকে শুরু হয়েছে এই ফ্রি কন্ডোম দেয়া।

কেন এই সিদ্ধান্ত

রোববার থেকেই ওষুধের দোকানে গেলে বিনা পয়সায় কন্ডোমপেয়ে যাচ্ছেন ২৫ বছর বা তার কম বয়সিরা।

প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ জানিয়েছেন, ফ্রান্স যৌনশিক্ষার ক্ষেত্রে খুব একটা ভালো কাজ করছে না। তিনি জানিয়েছেন, তত্ত্বের তুলনায় বাস্তব অবস্থাটা একেবারেই আলাদা। আমাদের শিক্ষকদের ভালো করে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাদের আবার পুরোটা ভালো করে বোঝাতে হবে।

ফ্রান্সে ২৫ বছর বা তার কম বয়সিরা বিনা পয়সায় ছেলেদের কন্ডোম পাবেন।
ফ্রান্সে ২৫ বছর বা তার কম বয়সিরা বিনা পয়সায় ছেলেদের কন্ডোম পাবেন। ছবি: Eric Gaillard/REUTERS

ছেলে বা মেয়েরা এই কন্ডোম নিতে পারবে, তবে বিনা পয়সায় পুরুষদের কন্ডোমই দেয়া হবে। ফ্রান্সে কিছু মিডল ও হাই স্কুলে কন্ডোম বিনা পয়সায় দেয়া হয়।

ফার্মাসিউটিক্যালস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ফিলিপ বরেল বলেছেন, ''কন্ডোম দেয়ার ক্ষেত্রে নিচের দিকে বয়সের কোনো সীমা নেই। তবে ছয় বছর বয়সি কোনো ছেলে যদি এই কন্ডোম চায়, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই তাকে দেব না।''

এইচআইভি রোধ করতে

ফ্রান্সে ২০২১ সাল থেকে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ হাজার। পাবলিক হেলথ ফ্রান্স জানাচ্ছে, ২০২১ সালে যে পাঁচ হাজার মানুষ এইচআইভি-তে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১৫ শতাংশের বয়স ২৬ বছরের কম।

এখন এইচআইভি-র আধুনিক ওষুধ বেরিয়েছে। এইচআইভি নিয়ে অনেকে বাকি জীবন কাটিয়ে দিচ্ছেন।

গত বছর থেকে ফ্রান্সে এইচআইভি পরীক্ষা বিনা পয়সায় করা যাচ্ছে এবং এর জন্য চিকিৎসকের সার্টিফিকেট দরকার হচ্ছে না। গত বছর থেকে ২৫ বছর বা তার কম বয়সি মেয়েদের জন্য জন্মনিরোধক ক্যাপসুল বিনা পয়সায় দেয়া হচ্ছে।

নিক মার্টিন/জিএইচ (ডিডাব্লিউ)