1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিফ্রান্স

ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফার ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার লড়াইয়ে অতি-ডানরা

৭ জুলাই ২০২৪

ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে৷ অতি-ডানপন্থি ন্যাশনাল ব়্যালিকে ঠেকাতে একজোট হয়ে লড়ছে মধ্যপন্থি ও বামপন্থি দলগুলো৷

https://p.dw.com/p/4hyv1
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন এক নারী
অতি-ডানপন্থিদের উত্থানের নির্বাচনে চূড়ান্ত দফায় ভোট দিচ্ছেন ফ্রান্সের মানুষছবি: Jean-Francois Badias/AP Photo/picture alliance

অতি-ডানপন্থিদেরউত্থানের নির্বাচনে চূড়ান্ত দফায় ভোট দিচ্ছেন ফ্রান্সের মানুষ৷ প্রথম দফায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া অতি-ডানপন্থি ন্যাশনাল ব়্যালি (আরএন) এই নির্বাচনে জয়ের আশা করছে৷ অন্যদিকে তাদের ঠেকাতে ক্ষমতাসীন মধ্যপন্থিদের সাথে একাট্টা হয়েছে বামপন্থিরা৷ স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে৷ ছোট শহরগুলোতে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আর বড় শহরে রাত আটটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে৷ রোববার রাতেই ফলাফল জানা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফ্রান্সে প্রায় চার কোটি ৯৩ লাখ ভোটার রয়েছেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে প্রথম অতি-ডানপন্থি সরকার?

সবশেষ জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষষ্ঠতা না পেলেও ন্যাশনাল ব়্যালি দ্বিতীয় দফার নির্বাচনেও সর্বোচ্চ আসনে জয়ী হবে বলে আভাস মিলছে৷ বামপন্থিদের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আসনগুলোতেও প্রথম দফার ভোটে তারা শক্তিশালী অবস্থান ছিল৷

শেষ পর্যন্ত মারিন ল্য পেনের আরএন জয়ী হলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো ফ্রান্সে সরকার গঠনের সুযোগ পাবে অতি-ডানপন্থিরা।

এমানুয়েল মাক্রোঁ ও তার স্ত্রী ব্রিজিত
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে অতি-ডানপন্থিদের কাছে হারের পরই আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন মাক্রোঁ।ছবি: Mohammed Badra/AP Photo/picture alliance

এদিকে আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচন ঘোষণা করলেও প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ তার দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন৷ সেক্ষেত্রে বিরোধীরা জয়ী হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় বড় ধরনের বাধার মুখে পড়তে পারেন তিনি৷ 

প্রথম দফায় যা হলো

৩০ জুন প্রথম দফার ভোটেআরএন ও সমমনা দলগুলো ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে৷ বামপন্থি নিউ পপুলার ফ্রন্ট ২৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল৷ প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর নেতৃত্বে মধ্যপন্থি এনসেম্বল ব্লক প্রায় ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে৷

যেসব প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের ৫০ শতাংশের বেশি পেয়েছেন, তাদের আর দ্বিতীয় দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে না। এর মধ্যে রয়েছেন ল্য পেনের জোট থেকে ৩৯ জন, বাম জোট থেকে ৩২ জন, এমানুয়েল মাক্রোঁর জোট থেকে দুই জন, রক্ষণশীল এলআর থেকে একজন এবং অন্যান্য ডান দল থেকে দুই জন।

বাকি ৫০১টি আসনের ভাগ্য নির্ধারিত হবে দুই থেকে চারজন প্রার্থীর মধ্যে৷

ফরাসি পার্লামেন্টে ম্যাজিক ফিগার ২৮৯। অর্থাৎ, যে দলের কাছে ২৮৯টি আসন থাকবে, তারাই সরকার গড়তে পারবে। আরএন এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে দলটির নেতা জর্ডান বারডেলাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিতে হবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁকে।

অতি-ডানদের ঠেকাতে যা করছে বামপন্থি ও মধ্যপন্থিরা

আরএনকে  আটকাতে বামপন্থি এবং মধ্যপন্থি দলগুলি একত্রিত হয়ে ‘রিপাবলিকান জোট' তৈরি করেছে। এই জোটের ২০০ জনেরও বেশি প্রার্থী নিশ্চিত করেছেন তারা দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে লড়বেন না, যাতে ডানপন্থিবিরোধী ভোটগুলো একই জায়গায় পড়ে৷

আরএন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ২০২২ সালের তুলনায় তাদের আসন সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঝুলন্ত পার্লামেন্টে তারাই আধিপত্য বিস্তার করবে। এর ফলে ২০২৭ সাল অবধি অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট হিসাবে মাক্রোঁর মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নীতির বাস্তবায়নে সমস্যা হতে পারে৷ এতে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ল্য পেনের জয়ী হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে৷

এদিকে মাক্রোঁ আগেই জানিয়েছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শের মিল না থাকলেও মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পদত্যাগ করবেন না তিনি৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে অতি-ডানপন্থিদের কাছে হারের পরই আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন মাক্রোঁ৷

আরকেসি/এফএস (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)