1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বড়দিনে ঘরে ফেরার গল্প

দেবারতি গুহ২ ডিসেম্বর ২০১৫

বড়দিন আসতে বেশি দেরি নেই৷ জার্মানিতে তাই ইতিমধ্যেই বসে গেছে বড়দিনের বাজার বা ‘ক্রিসমাস মার্কেট'৷ আর এ ব্যস্ততার মধ্যেই একটা জার্মান কোম্পানি বড়দিন নিয়ে একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে একেবারে ঝড় তুলেছে৷

https://p.dw.com/p/1HFqs
Symbolbild Weihnachtsessen
ছবি: Kzenon/Fotolia

ভিডিওটি শুরু হতেই চোখে পড়ে এক বৃদ্ধকে৷ বড়দিন উপলক্ষ্যে ছেলে-মেয়ে নাতি-নাতনিরা বাড়ি আসছে৷ তাই তাদের পছন্দের নানা রকম খাবার-দাবারের জোগাড় করে পোষা কুকুরটিকে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন উনি৷ তারপর রান্নাঘরে গিয়ে সবজি কাটতেই কাটতেই শুনলেন খবরটা৷ টেলিফোনে একটার পর একটা ‘মেসেজ'৷ ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনির কণ্ঠ৷ কিন্তু এবারও যে ওরা জানিয়ে দিলো যে কেউ-ই আসতে পারবে না৷ এবারও দেখা হবে না...৷ তাহলে কি আবারও বড়দিনটা সেই একাই কাটাতে হবে বৃদ্ধকে? অপেক্ষায় থাকতে হবে আরো একটা বছর?

না৷ বৃদ্ধ হাল ছাড়ার পাত্র নন৷ তাই তো শেষ পর্যন্ত নিজের মৃত্যুর খবরটা খামে করে পাঠিয়ে দিলেন সকলকে৷ ঠিক যেমনটা ভেবেছিলেন, তেমনটাই হলো৷ বাবা-দাদুর মৃত্যুসংবাদে পরিবারের সকলে যখন বাড়িতে হাজির হলো, দেখলো টেবিল জুড়ে মহাভোজ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য৷ আর চোখে এক পরম প্রাপ্তির হাসি নিয়ে সন্তান, নাতি-নাতনিকে বুকে তুলে নিলেন বৃদ্ধ৷

সত্যি, ভিডিওটি দেখে চোখের জল ধরে রাখা দায়৷ এই ভিডিও-বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছে ‘এডেকা', জার্মানির একটি নামকরা ‘সুপারমার্কেট চেন'৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ‘হাইমকমেন' বা ‘হোমকামিং' দিয়ে যেন ঝড় তুলেছে ভিডিওটি৷ আসলে বড়দিনে নিজের পরিবার, আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কাটাতে পারাটাই যে সবচেয়ে বড় উপহার৷ তার সঙ্গে মহাভোজের টেবিলে হাঁসের রোস্ট আর রকমারি মজাদার ব্যাঞ্জন থাকলে জমে যায় বড়দিন৷ আর তার উপকরণগুলো যদি ‘এডেকা' থেকে হয়, তাহলে তো কথায় নেই! হ্যাঁ, সেটাই তো বলছে কোম্পানিটি৷

ভিডিওটি দেখে কি আপনার চোখেও জল এসে গেল বন্ধুরা? জানান নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান