বন্যায় ব্যাংকের এক চতুর্থাংশ প্লাবিত
২৯ অক্টোবর ২০১১বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ হাল
রাজধানী ব্যাংককের এক চতুর্থাংশ এলাকা এখন বন্যার পানির নীচে৷ বিশেষ করে ব্যাংককের উত্তর এবং পশ্চিমাঞ্চলে এই অবস্থা বেশ খারাপ৷ সেখানে কোন কোন জায়গার রাস্তাঘাট এখন হাঁটুপানির নীচে৷ কোন কোন জায়গায় পানির উচ্চতা কোমর সমান৷ ব্যাংককের পশ্চিমের চাও ফ্রায়া নদীর পানি উপচে পড়ায় বন্যার পানি সেখানে আরও বেড়েছে৷ বন্যার পানিতে ডুবে গেছে সেখানকার অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ চায়না টাউন এবং গ্র্যান্ড প্যালেস৷ ব্যাংককের একেবারে কেন্দ্রস্থলের কিছু অংশ এখনও বন্যা থেকে মুক্ত৷ তবে রাজধানীর শহরতলীর অবস্থা বেশ খারাপ৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে থাইল্যান্ডের মোট চার মিলিয়ন একর জায়গা বন্যায় প্লাবিত হয়ে গেছে যার আয়তন কুয়েত কিংবা সুইজারল্যান্ডের সমান৷
দুর্গত মানুষদের অবস্থা
এখন পর্যন্ত বহু মানুষ আশ্রয় ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে৷ বেশিরভাগই ছুটছে সমুদ্র উপকূলের দিকে৷ কারণ সেখানে নদীর পানি পৌঁছার আশঙ্কা কম৷ উল্লেখ্য, গত দুই মাস ধরে অতিরিক্ত মৌসুমী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাংকক ও তার আশেপাশের নদীগুলোর পানি তীর উপচে পড়েছে৷ বন্যার পানির উচ্চতা সি লেভেল থেকে আড়াই মিটার বেশি বলে জানা গেছে৷ তবে যতটুকু আশংকা করা হয়েছিল ততটুকু হয়নি৷ বন্যা ঠেকাতে ব্যাংককের চাও ফ্রায়া নদীর আশেপাশে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে৷ সাধারণ মানুষ বন্যার হাত থেকে বাঁচতে বাড়ির আশেপাশে বালুর বস্তা ফেলছেন৷ অনেকে বেশ করে খাবার দাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে বাড়িতে রেখে দিয়েছেন৷
সরকারি উদ্যোগ
শনিবার প্রধানমন্ত্রী ইংলাক শিনাওয়াত্রা বক্তব্য দিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, ব্যাংককের আশেপাশের বেশ কিছু খাল দিয়ে বন্যার পানি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ যদি সকলেই একসঙ্গে কাজ করে তাহলে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই বন্যার পানি কমতে শুরু করবে, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শিনাওয়াত্রা৷ এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে নাগরিকদের জন্য অতিরিক্ত খাবার দাবার এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে থাই সরকার৷ ব্যাংককে পাঁচদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং প্রয়োজন হলে এই ছুটির সময় আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন থাই প্রধানমন্ত্রী ইংলাক শিনাওয়াত্রা৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম