1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলা অভিধানের ডিজিটাইজেশন

সঙ্গীতা ইমাম, শিক্ষক, লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী
সঙ্গীতা ইমাম
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

অভিধান কতটা জরুরি, সেটা চট করে হয়তো অনুধাবন করা যায় না৷ কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পাদকের টেবিল বা বহুজাতিক কোম্পানি থেকে সরকারি দপ্তর- সর্বত্রই কাজ করতে গেলে টের পাওয়া যায় অভিধান কতটা প্রয়োজনীয়৷

https://p.dw.com/p/47E1N
Dakhar | Ekushey Book Fair 2022
ছবি: Mortuza Rashed/DW

কেবল শব্দের অর্থ দেখার জন্যই তো নয়, বানান এমনকি উচ্চারণ দেখতে হলেও অভিধানের দ্বারস্থ হতে হয়৷ বিদেশি ভাষা হলে তো কথাই নেই, মাতৃভাষার ক্ষেত্রেও যে অভিধানের সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য, সেটা আমরা স্বীকার করি না বটে, কিন্তু ঠেকে শিখি৷ তবে এই শেখাটাকে মর্মে নিতে পারি না বলেই আমাদের ‘ব্যথা’ বানানে ব এবং য-ফলার পর একটি ব্যথিত আ-কার চলে আসে, বন্ধুর সঙ্গে তর্ক করে মরি- ‘চর্চা’ শব্দটির উচ্চারণ কী বানানের মতোই হবে নাকি ‘চোর্চা’ হবে৷ সুতরাং অভিধানের গুরুত্ব অনেকটা বাতাসের মতোই আমাদের ঘিরে রাখে; হাতের কাছে না থাকলে বুঝতে পারি কী ঠেকাটাই না ঠেকেছি৷

ইংরেজি ভাষার ক্ষেত্রে আমাদের এ অভাব অনেকটাই ইন্টারনেটের কল্যাণে দূর করা সম্ভব৷ তাছাড়া মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কিংবা অন্য কোনো লেখার সফটওয়্যারে অটো-কারেকশন বা সিনোনেইম বলে কিছু অপশন থাকে, তা দিয়ে দিব্যি কাজ চালানো যায়৷ আমার একজন লেখক বন্ধু গ্রামারলি বলে একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করেন৷ শুনেছি, তাতে ইংরেজি লেখার টুকটাক ভুলত্রুটি অনায়াসে সমাধান করা যায়৷ তাছাড়া ইংরেজি ভাষার ক্ষেত্রে যে কোনো শব্দের অর্থ, তার উৎসমূল ইত্যাদি গুগলে সার্চ করলেই চট করে চলে আসে৷ ফলে ততটা বেগ পেতে হয় না৷

আমি ভাষাতাত্ত্বিক নই, তাই অন্যান্য ভাষার ক্ষেত্রে এরকম সুবিধা কতটা কার্যকর, সেটা বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়৷ তবে বাংলা আমার মাতৃভাষা হলেও, এ ভাষায় লেখা বা পড়ার ক্ষেত্রে অভিধানের দ্বারস্থ আমাকে হতেই হয়- এ কথা স্বীকারে আমার কোনো লজ্জা নেই৷ এই অভিধানের প্রসঙ্গ এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঢাউস আকৃতির বই- তাও একটি নয়, কয়েকটি৷ ছোটোবেলায় আমরা ব্যবহার করেছি প্রণম্য হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত বঙ্গীয় শব্দকোষ৷ দুই খণ্ডের এই শব্দকোষটি অভ্যাসের কারণে এখনও আমি ব্যবহার করে থাকি৷ তবে ভাষা তো পরিবর্তিত হয়, সেই সঙ্গে বানান পদ্ধতিও৷ ফলে বাংলা একাডেমি প্রণীত অভিধানের গুরুত্ব অপরিসীম৷ দু এক বছর পরপরই বইমেলা থেকে বাংলা একাডেমির কোনো না কোনো অভিধান কিনতেই হয়- বিশেষ করে বানান অভিধান, না হয় ব্যবহারিক অভিধান৷ কারণ আমার পেশা যেহেতু শিক্ষকতা, তাই কোনো বানানের কোনো পরিবর্তন হলো কি না, সেটা নজরে রাখতে হয়৷

আমার মনে হয়, কোনো শব্দের ব্যুৎপত্তিগত বা ব্যবহারিক অর্থ, বা তার বানান কিংবা প্রয়োগ ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের শিক্ষার্থীদের বা যে কোনো মানুষের না জানাটা দোষের কিছু নয়, কারণ মানুষ তো সবকিছু আর জানতে পারবেন না, ভুল তার হতেই পারে৷ কিন্তু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যখন কথা বলি বা তাদের বানান কি উচ্চারণ নিয়ে যখন কথা বলি, তখন দেখি বেশ শক্তপোক্তভাবে তারা ভুলটা জেনে বসে আছেন৷ শুধু তাই নয়, কয়েকজন আমাকে তথ্যসূত্র দিয়ে বোঝানোরও চেষ্টা করেন কেনো তার জানাটি ভুল নয়, বরং একশভাগ সঠিক৷ গত বছর একটি একটি অনুষ্ঠানের জন্য সঙ্গীতশিল্পী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমাকে অন্যতম নির্বাচকের ভূমিকা পালন করতে হয়েছিল৷ আমি যদিও সঙ্গীতশিল্পী নই, তবুও কেন আয়োজকরা আমায় নির্বাচকের ভূমিকায় রাখলেন, এর উত্তর হয়তো অভিধান ঘেঁটেও পাওয়া যাবে না৷ তো প্রতিযোগীদের অধিকাংশই ছিলেন শিক্ষার্থী৷ তাদেরই একজন গাইছিলেন ‘ওই ঝিনুকফোটা সাগরবেলায় আমার ইচ্ছে করে...’৷ গানটি পরিবেশনের ক্ষেত্রে সুর লয়ের যে কোনো সমস্যা ছিল না, সেটা সহ-নির্বাচকদের আলোচনা থেকেই বুঝেছিলাম৷ কিন্তু আমার কানে বাঁধছিল শিল্পীর ‘বেলা’ উচ্চারণটি৷ অর্থভেদে ‘বেলা'র দুটো উচ্চারণ৷ সময় বোঝালে অর্থাৎ দুপুরবেলা, বিকেলবেলা হলে এর উচ্চারণ হবে ‘ব্যালা' আর সমুদ্রের পাড় বোঝালে উচ্চারণ হবে ‘বেলা’৷ তাই ‘সাগরবেলা’ যতটা অর্থপূর্ণ ‘সাগরব্যালা' ঠিক ততটাই অর্থহীন৷ কিন্তু প্রতিযোগী আমার এই যুক্তি মানতে নারাজ৷ তার দৃঢ় বিশ্বাস উচ্চারণটি ঠিক আছে৷ শেষমেষ তিনি আমাকে ইউটিউব থেকে অন্তত তিনটি ভিডিও দেখালেন যেখানে বিভিন্ন শিল্পীরা এই গানটি গেয়েছেন এবং তাঁরাও নির্বিবাদে ‘সাগরব্যালাই’ উচ্চারণ করেছেন৷ তারপর তাকে মূলশিল্পী সামিনা চৌধুরীর গানটি শুনিয়ে আমার বোঝাতে হলো, গানটি যারা কভার করেছিলেন, তারাও উচ্চারণ ভুল করেছেন৷

ঘটনাটি উল্লেখ করলাম কারণ, আমাদের ইন্টারনেটের জগতে বাংলার ক্ষেত্রে বানান, অর্থ, উচ্চারণ এমনকি বাক্যে শব্দের ব্যবহার সংক্রান্ত নানা তথ্য ভেসে বেড়াচ্ছে৷ কিন্তু তথ্যের এই ডুবসাঁতার আমাদের কতটা ডোবায়, তার প্রমাণ মেলে গুগল ট্রান্সলেটরের ওপর যদি কষ্মিনকালেও কেউ ভরসা করে থাকেন৷ তাহলে উপায় কি? সঙ্গে করে অভিধান নিয়ে ঘোরা তো কোনো সমাধান হতে পারে না৷ একসময় বাজারে পকেট ডিকশনারি পাওয়া যেত, এখন তার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে৷ তাছাড়া প্রযুক্তি আমাদের নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দিয়েছে৷ প্রশ্ন হচ্ছে, সেই সুযোগটা আমরা কতখানি কাজে লাগাচ্ছি?

ইংরেজি ভাষাকেই যদি উদাহরণ হিসেবে ধরি, তাহলে আজ কে অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ বা কলিন্স ডিকশনারি কেনেন? একে তো গুগল, বিং ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিনগুলো এই ডিকশনারিগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে, তার ওপর প্রত্যেকেরই রয়েছে অনলাইন সংস্করণ৷ এমনকি অ্যাপ্লিকেশন আকারেও এগুলো পাওয়া যায় গুগল কিংবা অ্যাপল প্লেস্টোরে৷ ছাপানো অভিধানের মতো এখানেও শব্দের মূল, ব্যুৎপত্তি, উচ্চারণ, সমার্থক শব্দ ও উদাহরণ পাওয়া যায়৷ অনলাইন সংস্করণগুলোতে উদাহরণ বরং আরও বেশি পাওয়া যায়৷ ফলে ছাপা অভিধানের গুরুত্ব লাইব্রেরি বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া তেমন আর উপলব্ধি হয় না৷ ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এই অ্যাপ্লিকেশনগুলোই সই৷ তাছাড়া ওয়েবসাইট তো আছেই৷ ফলে পকেট ডিকশনারির প্রয়োজনীয়তাও আর রইলো না৷ প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন নজর দিচ্ছে তাদের অনলাইন সংস্করণের ওপরই৷ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের প্রধান নির্বাহীর বক্তব্য অনুযায়ী, অক্সফোর্ড ডিকশনারির তৃতীয় সংস্করণ হবে মূলত অনলাইন সংস্করণ৷

এই উদাহরণগুলো সামনে রেখে আমরা যদি বাংলা অভিধানের দিকে তাকাই, তবে খানিকটা নয়, অনেকটাই হতাশ হতে হয়৷ এখনও অনলাইনে বাংলা অভিধানের ক্ষেত্রে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতা গড়ে ওঠেনি৷ কারণ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যারা অভিধান প্রণয়ন করেন, তারা এখনও এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি৷ এতে যে সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে, তার একটি প্রাথমিক বিবরণ তো আমি লেখার শুরুর অংশে তুলে ধরেছি, কিন্তু সত্যিকার অর্থে এই সংকট আরও গভীরে৷ আগেই বলেছিলাম, না জানলে জেনে নেয়া যায়; কিন্তু ভুল জানলে সেটাকে শোধরানো খুব মুশকিল হয়ে পড়ে৷ অনলাইনে এখন বাংলা শব্দের ক্ষেত্রে মূল যে সমস্যাটি তৈরি হয়েছে, তা হলো ভুল বানান এবং ভুল অর্থ এমনকি ভুল প্রয়োগকেই সঠিক বলে চালানো হচ্ছে৷ কারা চালাচ্ছেন? যারা বাংলা অভিধানকে সামনে রেখে নানা নামে নানা ধরনের অ্যাপ্লিকেশন বা ওয়েবসাইট বানিয়েছেন, তারাই৷ যেহেতু অভিধানের প্রয়োজনীয়তা আছেই কিন্তু সঠিক অভিধান খুঁজে পাবার কোনো উপায় নেই, তাই অনেকে বাধ্য হয়েই বা না জেনেই এগুলো ব্যবহার করছেন৷ ফলে অনেক ভুল অর্থ যেমন জানছেন, তেমনি আবার প্রয়োজনীয় অনেক শব্দের অর্থ তারা খুঁজে পাচ্ছেন না৷ অর্থাৎ সংকটের কোনো সমাধান আদৌ হলো না৷

এক্ষেত্রে মূল উদ্যোগটি আসলে বাংলা একাডেমিকেই গ্রহণ করতে হবে৷ কারণ বাংলাদেশে অভিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে তারাই নির্ভরযোগ্য ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান৷ এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন৷ বাংলা একাডেমি নানা ধরনের অভিধান প্রণয়ন করেছে৷ আলাদা আলাদাভাবে সেগুলো ক্রয় করা অনেকের সাধ্যের অতীত বা অনেকের প্রয়োজনও নেই৷ কিন্তু ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে এই অভিধানগুলোর একটি সমন্বয় করা সম্ভব৷ যেমন গবেষক গোলাম মুরশিদের সম্পাদনায় বাংলা একাডেমি প্রণীত বিবর্তনমূলক অভিধান তিন খণ্ডের৷ ব্যবহারিক অভিধানের সঙ্গে এর পার্থক্য রয়েছে৷ এখন এই তিন খণ্ডের অভিধান কেনা সকলের জন্য সম্ভবপর নাও হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে এগুলো সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে, যেটা ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে সম্ভব৷

সঙ্গীতা ইমাম, সংস্কৃতিকর্মী
সঙ্গীতা ইমাম, সংস্কৃতিকর্মীছবি: Sangeeta Imam

প্রশ্ন হতে পারে, বাংলা অভিধানের ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে ছাপার অভিধানকে পত্রপাঠ বিদায় জানানো হবে? একেবারেই নয়৷ কারণ, ছাপার অভিধানের প্রয়োজনীয়তা থাকবেই, হয়তো বৃহৎ আকারে না হলেও সুনির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ছাপার অভিধানের গুরুত্ব কখনোই হারাবে না৷ কিন্তু মানুষের হাতে হাতে অভিধান পৌঁছে যাবে এবং মানুষ যা শিখছেন, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন৷ একই সঙ্গে এই ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে অনলাইনে বাংলা শব্দ, শব্দের অর্থ বা প্রয়োগ নিয়ে যত ভুলত্রুটি রয়েছে, সেগুলোরও সমাধান হবে৷ অনেকে মনে করতে পারেন, এতে ছাপার অভিধানের বিক্রি কমে যাবে, অর্থাৎ বাংলা একাডেমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ আমার তা মনে হয় না৷ এ কথা ঠিক বাংলা একাডেমির অভিধানের চাহিদা প্রচুর৷ কিন্তু সকলে কি সব ধরনের অভিধান কেনেন? নিশ্চয়ই না৷ অনেকে হয়তো কেননই না, কারণ বাংলা তো মাতৃভাষা, মাতৃভাষার অভিধান কিনে কী হবে- এমন মত অনেকেরই থাকতে পারে৷ আমার মনে হয়, অভিধানের ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে বাংলা একাডেমি চাইলে সেটা অনলাইনে বিক্রিও করতে পারেন৷ কেউ যদি সব ধরনের অভিধানের সমন্বিত রূপটি পেতে চান, তাহলে তিনি সেটা কিনে নিবেন৷ নয়তো ব্যবহারিক ও বানান অভিধান থেকেই নিজের প্রয়োজন মেটাবেন৷

সন্দেহ নেই, এটি একটি বড়ো কাজ৷ বর্তমান সরকার এক দশক আগে থেকেই ডিজিটাইজেশনের ওপর জোর দিয়ে আসছেন৷ সেক্ষেত্রে এতদিনেও আমরা একটি ডিজিটাল বাংলা অভিধান পেলাম না, এটা দুঃখজনক৷ গত ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মাননীয় ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, সরকার ৭৪ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে কোরান শরীফ ডিজিটাইজেশন করেছেন৷ অত্যন্ত প্রশংসনীয় একটি কাজ৷ প্রখ্যাত আলেম-ওলামাগণের সমন্বয়ে এই ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে নিঃসন্দেহে পবিত্র কোরানের মর্মবাণী সাধারণ মানুষ সহজে জানতে বুঝতে পারবেন, ফলে ধর্মান্ধদের মিথ্যাচার ও ধর্মব্যবসা বন্ধ হবে৷

খরচের অঙ্ক দেখে বোঝা যাচ্ছে, চলমান নানা মেগা প্রজেক্টের তুলনায় এই খরচ তেমন কিছুই নয়৷ প্রয়োজন সদিচ্ছা ও উদ্যোগ৷ প্রাথমিকভাবে বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে এই উদ্যোগটি গ্রহণ করে সম্পন্ন করতে পারলে পরবর্তীতে বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা নিয়েও কাজ করা সম্ভব৷ ফলে ভাষাভিত্তিক জ্ঞানের আদান-প্রদানটিও সহজ হবে বলে আমি মনে করি৷ ভাষার মাসে ভাষার জন্যে এই ডিজিটাল অভিধানের উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানাই৷

সঙ্গীতা ইমাম, শিক্ষক, লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী
সঙ্গীতা ইমাম বাংলাদেশের সংস্কৃতিকর্মী
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য