বাংলা ভাষা
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১২প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শত্রু-মিত্রদের চিনতে হবে৷ আর একুশে পদক প্রাপ্ত ব্যক্তিরা তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের মর্যাদা রক্ষায় তারা কাজ করে যাবেন৷
রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এবার দেশের ১৫ জন গুণী ব্যক্তিকে একুশে পদক দেয়া হয়েছে৷ এর মধ্যে ৭ জনকে মরণোত্তর পদক দেয়া হয়৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পদক বিতরণ করেন৷ এবার ভাষা আন্দোলনের জন্য মমতাজ বেগম (মরণোত্তর), শিল্পকলায় মোবিনুল আজিম(মরণোত্তর), তারেক মাসুদ (মরণোত্তর), ড. ইনামুল হক, মামুনুর রশিদ, অধ্যাপক ড. করুণাময় গোস্বামী, সাংবাদিকতায় এহতেশাম হায়দার চৌধুরী(মরণোত্তর), মিশুক মুনীর (মরণোত্তর), হাবিবুর রহমান মিলন, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. অজয় কুমার রায়, ড. মনসুরুল আলম খান,ড. একেএম নাজমুল করিম (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক বরেন চক্রবর্তী, সমাজসেবায় শ্রীমৎ শুদ্ধানন্দ মহাথের এবং ভাষা ও সাহিত্যে ড. হুমায়ুন আজাদ(মরণোত্তর) একুশে পদক পেলেন৷ প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সারা বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে৷ আর এর জন্য সহায়তা নিতে হবে তথ্য প্রযুক্তির৷ প্রধানমন্ত্রী একুশে চেতনাকে সবখানে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান৷
এদিকে একুশে পদকপ্রাপ্তরা তাদের প্রতিক্রিয়ায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে কাজ করে যাওয়ার কথা বলেন৷ ডয়চে ভেলের কাছে প্রতিক্রিয়া মামুনুর রশিদ ও ড. ইনামুল হক বলেন, দেশ ও জাতির জন্য কাজ করার কথা৷
মরণোত্তর পদক প্রাপ্ত তারেক মাসুদদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ এবং ড. হুমায়ুন আজাদের স্ত্রী জানান তাদের প্রতিক্রিয়া৷
১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক চালু হয়৷ এপর্যন্ত দেশে ৩৬৩ জন গুণী ব্যক্তি এই পদক পেলেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন