বাংলাদেশ ‘সবথেকে বেশি' গুরুত্ব পায়: ভারতের নতুন হাই কমিশনার
৩০ নভেম্বর ২০২২
বুধবার সকালে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ভারতের নতুন দূত৷ পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান৷
তিনি বলেন, ‘‘প্রণয় ভার্মা সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, প্রতিবেশীদের নিয়ে ভারতের একটা নীতি রয়েছে৷ এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রায়োরিটি৷ যে কোনো কিছুতে বাংলাদেশের প্রায়োরিটি বেশি৷”
ভবিষ্যতে দুদেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে আশা প্রকাশ করে প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ভারত সব সময়ই ‘ভালো বন্ধু'৷ সামনে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘আরও জোরদার' হবে৷
প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব জানান, অঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখতে এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করে যাওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলেন হাই কমিশনার৷
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কখনোই সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয়নি৷ বাংলাদেশের মাটি কখনোই সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার হবে না৷ ‘‘বাংলাদেশ কখনোই সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয় না৷ সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নাই৷ তাদের কোনো সীমারেখাও নাই৷”
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলমত নির্বিশেষে ভারতের মানুষ যেভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছে, তা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী৷
তিনি বলেন, ‘‘অনেক অমীমাংসিত বিষয় আছে যেগুলো আমাদের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে৷ তিস্তাসহ অন্যান্য যে অমীমাংসিত বিষয় আছে সেগুলো আমরা আলোচনা করেই সমাধান করতে পারি৷”
শাখাওয়াত মুন বলেন, ‘‘বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার ভিশনারি লিডারশিপের প্রশংসা করেন ভারতীয় হাই কমিশনার৷ দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের ওপর জোর দেন তিনি৷”
প্রনয় ভার্মা বলেন, ভারত বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বাংলাদেশকে সমর্থন করবে এবং এই বিষয়ে নেপাল-ভুটানের সঙ্গেও কাজ করবে৷ বাংলাদেশ-ভারত সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সিইপিএ) নিয়েও আলোচনা হয় সাক্ষাতে৷
বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ভালো সুযোগ আছে৷ আমরা ১০০ ইকোনোমিক জোন করছি৷ ভারত সেখানে বিনিয়োগ করতে পারে৷”
চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য যে সুযোগ ও সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে, তাও বৈঠকে তুলে ধরেন সরকার প্রধান৷
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর যে রাজনৈতিক দর্শন ছিল সেটা সত্যিই অনুসরণীয়৷”
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমার বাবা জনগণের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন৷ তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমিও জনগণের জন্য রাজনীতি করি৷”
হাই কমিশনার ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পৌঁছে দেন৷ তার মাধ্যমে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী৷
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্ব্যাসাডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস ৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)