জঙ্গিদের আইএস কানেকশন
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪
জেএমবি-র আটক সদস্যরা হলেন, ভারপ্রাপ্ত আমির আব্দুল্লাহ আল-তাসনিম ওরফে নাহিদ, মো. নাঈম আলী, মো. সিকান্দার আলী ওরফে নকি, মাহমুদ ইবনে বাশার, মো. মাসুম বিল্লাহ, ফুয়াদ হাসান এবং আলী আহমদ৷ তাদের বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার অদূরে তুরাগের আশুলিয়া ল্যান্ডিং স্টেশন পার্কিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তাদের গোয়েন্দা সদরদপ্তরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷
গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘জেএমবি-র সর্বশেষ আমির মাওলানা সাইদুর রহমান আটক হওয়ার পর আব্দুল্লাহ আল-তাসনিম ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে জঙ্গিদের সংগঠিত করার কাজ করছিল৷তারা ভিভিআইপি, ভিআইপিসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিল৷''
তিনি জানান, ‘‘হামলার মাধ্যমে তারা মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি সংগঠন আইএস-কে তাদের শক্তি সম্পর্কে জানান দিতে চেয়েছিল৷ এরই মধ্যে আইএস বা আইসিস-এর সঙ্গে তারা যোগাযোগের কথা স্বীকার করেছে৷''
এছাড়া তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক তৈরির জন্য ব্যবহৃত ১০ কেজি জেলমিশ্রিত রাসায়নিক, চারটি পিতলের মূর্তি, জেএমবি-র প্রচারপত্র ও বই উদ্ধার করা হয় বলেও জানান মনিরুল ৷
তিনি জানান, ‘‘উদ্ধারকৃত জেল বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়৷ আর পিতলের মূর্তির গুড়া বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহার করে৷ উদ্ধারকৃত বইয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি সংগঠন পরিচালনার জন্য নিয়ম-নীতি সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা রয়েছে৷ এছাড়া জব্দকৃত লিফলেট বিভিন্ন সময়ে দাওয়াতি কাজে ব্যবহার করে তারা৷''
২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে আলোচনায় আসে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি৷ ১৭ই আগস্টের পর তারা সারাদেশে একের পর এক আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ, সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাসহ ৩৩ জন জনকে হত্যা করে৷
২০০৫ সালের ১৪ই নভেম্বর বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ঝালকাঠিতে দুই বিচারক হত্যা মামলায় তখনকার জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইসহ শীর্ষ ছয়জন জঙ্গির ফাঁসি হয়৷
১৭ই আগস্টের বোমা হামলার ঘটনায় বাংলাদেশে মোট ১৫৯টি মামলা হয়৷ এর মধ্যে ৯১টি মামলার বিচার শেষে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, ১১২ জনের যাবজ্জীবন এবং ১০১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ পলাতক আছে ফাঁসির তিন আসামিসহ ৭৪ জন সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি৷