প্রতিবাদ করতে দিচ্ছে না সরকার
২৩ ডিসেম্বর ২০১৫‘বাংলাদেশে আজ সুশীল সমাজের সদস্যরা নিস্ক্রিয়৷ কোনো কিছুর প্রতিবাদ করার ক্ষমতা তাঁদের নেই৷ সরকারই সেটা করতে দিচ্ছে না৷ তবে এর জন্য দায়ী সুশীলরাও৷' লেখকের এই বক্তব্যের সাথে শতকরা ১০০ ভাগ একমত পাঠক মাহমুদ হাসান৷
‘‘সুশীল সমাজের কেউ না কেউ একটা দলের সাথে জড়িত আছে৷ কেউ রাতকানা, কেউ দিনকানা৷ টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে সরকার নির্দেশ দিয়েছে নিরপেক্ষভাবে সরকারের বিপক্ষে যারা কথা বলবে, তাদের কাউকে টকশো'তে না আনতে৷ অন্যথায় টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দেবে৷ সরকার কারো কথা সহ্য করতে রাজি নয়৷'' এই মন্তব্য মুহাম্মদ আরিফুল হুদা আরিফের৷
জাহিদুল হক লিখেছেন, ‘‘সুশীলদের এই দুই অংশের বাইরেও একটি অংশ আছে, যার সদস্য সংখ্যা খুবই নগণ্য৷ বর্তমান সরকার এই অংশকে বিভিন্ন উপায়ে চাপে রেখেছে৷ তাঁদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে৷ কেউ আবার দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নিজে থেকেই স্বনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছেন৷ তাঁরা ভাবছেন, মত প্রকাশ করতে গিয়ে যদি জীবনটাই চলে যায় তাহলে চুপ থাকাই ভালো৷'' লেখকের এই বক্তব্যের সাথে কিছুটা মিল রয়েছে পাঠক আইয়ার মুহাম্মদের৷ তিনি বলছেন, কেউ দলপ্রীতি আবার কেউ কেউ আদর্শপ্রীতি আবার কেউ বা সরকারজোটের রিঅ্যাকশনের ভয়ে রয়েছেন৷
ডয়চে ভেলের পাঠক মোস্তাফিজুর রহমানও লেখকের মতো সুশীল সমাজকেই দায়ী করছেন৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘একলা চলোরে নীতিতে আর যাই হোক সামাজিক হওয়া যায় না৷ সুশীল হওয়ার প্রথম কাজ হলো নিজের সমাজ ও মানুষের সাথে মিশে যাওয়া৷ বই পড়ে সুশীল হওয়ার ফলাফল যে কী তা ভালোই টের পাচ্ছেন বর্তমান সময়ের সুশীলরা৷''
আমাদের ফেসবুক বন্ধু আমানুল হকও সুশীলদেরই দায়ী করছেন৷ তিনি বলছেন, ‘‘আপনি সমাজে বসবাস করতে গেলে অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করতে হবে৷ গঠনমূলক সমালোচনা করা যায়, তবে তার একটি নিদৃষ্ট মাত্রা থাকা উচিত৷ কিন্তু বর্তমানে তথাকথিত সুশীল সমাজ সেই মাত্রা অতিক্রম করে সাধারণ মানুষের যুগ যুগ ধরে চলে আসা ধর্মবিশ্বাস আচার-আচরণ নিয়ে খেলা করছে৷ আধুনিকতার নাম করে অপসংস্কৃতি অনুপ্রবেশ করাচ্ছে৷ তাই তাদের এই দূরাবস্থা৷''
‘‘সুশীল সমাজ যতদিন পর্যন্ত না দলীয় লেজুড়বৃত্তি ছাড়বে, ততদিন পর্যন্ত অবস্থার কোনোই পরিবর্তন হবে না৷'' এই মন্তব্য পাঠক মাসুমের৷
দেরিতে হলেও বাস্তবতাকে বুঝতে পেরেছেন বলে পাঠক মাসুদ সুশীল সমাজকে ধন্যবাদ দিয়েছেন৷
অন্যদিকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পুরোপুরি শেখ হাসিনাকেই দায়ী করেছেন৷ আমিনুল ইসলাম শাহীন, স্বপন কান্তি দাস, সুমন, শেখ মোহাম্মদ শামীম, রূপা – এরা সকলেই মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর সাথে একমত৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ