ট্রাইব্যুনালের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট ব়্যাপ
১৬ মে ২০১৩যুদ্ধপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়ার পর ২০১১ সালের জানুয়ারিতে প্রথম ঢাকায় আসেন স্টিফেন জে ব়্যাপ৷ তখন তিনি ট্রাইব্যুনাল আইনের কিছু সংশোধনীর কথা বলেছিলেন৷ আর এবার ঢাকায় এসে বিচার কাজ পর্যবেক্ষণ, প্রসিকিউটর এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার পর জানালেন যে, তিনি যে সংশোধনীর প্রস্তাব করেছিলেন তার কিছুটা কার্যকর হয়েছে৷ তবে এটি আরো উন্নত করার সুযোগ আছে৷
বুধবার বিকেলে অ্যামেরিকান সেন্টারে সাংবদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব়্যাপ বলেন, পুরো বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট না থাকলেও আগের চেয়ে ট্রাইব্যুনালের অগ্রগতিতে তিনি সন্তুষ্ট৷
গণজাগরণ মঞ্চ বিচার কাজকে কোনোভাবে প্রভাবিত করছে কিনা – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাঁর তেমন মনে হয় না৷ তিনি বলেন, বিচারকদের প্রতি তিনি আস্থাশীল এবং মনে করেন যে তাঁরা বিচারে অপরাধকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন৷ তবে তিনি মনে করেন, কাউকে মৃতু্যদণ্ড দিতে হলে তার অপরাধ চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই দিতে হবে৷
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বলেন, স্টিফেন ব়্যাপ বুধবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ প্রত্যক্ষ করেন৷ তিনি দুটি ট্রাইব্যুনালে ১ ঘণ্টা ধরে মনযোগ দিয়ে বিচারকাজ প্রত্যক্ষ করেন৷ এর আগে তিনি সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের সঙ্গেও দেখা করেন৷ আইনমন্ত্রী তাঁকে ট্রাইব্যুনালের সর্বশেষ অগ্রগতি এবং বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানান৷
স্টিফেন ব়্যাপ আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলেন৷ শুধু তাই নয়, তাদের পক্ষে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে নিজেদের মতামতও তুলে ধরেন৷
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির ডয়চে ভেলেকে বলেন, ট্রাইব্যুনাল এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে স্টিফেন ব়্যাপের এই সময়ের উপলব্ধি অবশ্যই একটি অগ্রগতি৷ কারণ, এর আগেরবার তিনি ট্রাইব্যুনালের কিছু বিষয় নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন৷ অবশ্য স্টিফেন ব়্যাপের মতো শাহরিয়ার কবিরও মনে করেন যে, ট্রাইব্যুনালকে আরো উন্নত করার সুযোগ আছে৷
এছাড়া, এখনও সাক্ষী সুরক্ষা আইন হয়নি৷ যার ফলে, অনেক সাক্ষী এখনও আদালতে আসতে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে ভয় পাচ্ছেন৷ তাই অতি দ্রুত সাক্ষী সুরক্ষা আইন করা জরুরি৷ তিনিও মনে করেন যে, বিচারকরা স্বাধীনভাবেই কাজ করছেন৷ কারণ গণজাগরণ মঞ্চের চাপের প্রশ্ন যাঁরা তুলছেন, তাঁদের জানা উচিত যে জামায়াত শিবির সন্ত্রাস আর হিংসার মাধ্যমে আরো বড় চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে৷ কিন্তু এরপরেও বিচারকরা কোনো চাপকেই গ্রাহ্য করছেন না৷