রোহিঙ্গা শরণার্থী
৪ নভেম্বর ২০১২জাতিসংঘের হিসেবেই এখন মিয়ারমারের রাখাইন রাজ্যের ২৮ হাজার মানুষ গৃহহীন৷ আর এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮৯ জন৷ জাতিগত দাঙ্গায় বিপর্যন্ত এঁদের প্রায় সকলেই রোহিঙ্গা মুসলমান৷ জাতিসংঘ মিয়ানমারে এই জাতিগত সংঘাত বন্ধের আহ্বার জানিয়েছে৷ বলেছে, এই জাতিগত দাঙ্গা রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার অজুহাত হিসেবে যেন ব্যবহার করা না হয়৷ আর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ৷
তবে জাতিসংঘের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিক মোহাম্মদ জমির৷ তিনি বলেন, জাতিসংঘ দায়সারা গোছের কাজ করছে৷ আর যুক্তরাষ্ট্র চাপ সৃষ্টি না করে মিয়ানমারের ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে৷
একই ধরনের কথা বলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অধ্যাপক এম শাহিদুজ্জামান৷ তিনি বলেন, জাতিসংঘ আদতে একটি নিরাপদ নীতি বেছে নিয়েছে৷ শাহিদুজ্জামানের কথায়, তারা মিয়ানমারের প্রতি অনেক সহনশীল, অথচ তারাই বাংলাদেশের ওপর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে৷
মোহাম্মদ জমির বলেন, বাংলাদেশের পক্ষে আর নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়৷ এর জন্য এখন আন্তর্জাতিকভাবে সমাধান খোঁজা উচিত৷
দ্বিতীয় দফায় জাতিগত দাঙ্গার শিকার রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশে আশ্রয় পাচ্ছেন না৷ তাঁরা সমুদ্র পথে এসে আবার সমুদ্রেই ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন৷ অন্তত তিন হাজার রোহিঙ্গা সমুদ্রে নিখোঁজ হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ বিশ্লেষকরা বলেছেন, বাংলাদেশেরও উচিত বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া৷
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এখন নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ৩০ হাজার৷ তবে দেশটিতে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা প্রায় চার লাখ৷