নাস্তিকদের যা ভাবা হয়
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫গত জুনে ঢাকায় জরিপের শুরুতে নাস্তিকদের সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় তরুণ শিক্ষার্থীদের৷ তাঁদের কেউই নাস্তিক ব্লগারদের হত্যার বিষয়টিকে সমর্থন করেননি৷ তবে কয়েকজন জানিয়েছেন, নাস্তিকদের ধর্মকে আঘাত করে লেখালেখি উচিত নয়৷ বাক স্বাধীনতার অর্থ এটা নয়৷ আবার কেউ কেউ মতামত জানিয়েছেন যে, নাস্তিক বা আস্তিক আসলে একটি রাজনৈতিক বিতর্ক৷ একটি রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে এটা করছে৷
তবে ডয়চে ভেলের জনমত জরিপের প্রশ্নের উত্তর দেবার ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতো নিরপেক্ষ ছিলেন না স্বল্পশিক্ষিতরা৷ কারওয়ান বাজারে এক মুদি দোকানদার তো দিব্যি বলে দিলেন, নাস্তিকরা ইসলামের শত্রু, তাঁদের মেরে ফেলা উচিত৷ এক গৃহিনীও এমন মতামত দিলেও ঠিক কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি৷
বাংলাদেশের একটি মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থী ডয়চে ভেলের প্রশ্নের উত্তরে শুরুতেই বলে দেন যে ব্লগারদের, তাদের লোকজন হত্যা করেনি৷ তাঁর মতে, নাস্তিকদের আগে ইসলাম ধর্মের পথে আসতে আহ্বান জানাতে হবে৷ যদি আসেন ভালো, না আসলে অন্য ব্যবস্থা নিতে হবে৷ সেই অন্য ব্যবস্থা কী, তা অবশ্য তিনি বিস্তারিত জানাননি৷
ডয়চে ভেলের জনমত জরিপে সামগ্রিকভাবে একটি বিষয় পরিষ্কার, নাস্তিকদের সম্পর্কে ঢাকার অনেক মানুষেরই স্বচ্ছ ধারণা নেই৷ বরং নাস্তিকরা ইসলামের শত্রু, এমন একটি ধারণা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে সমাজে৷ ফলে নাস্তিক ব্লগার হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া কম৷